স্পোর্টস ডেস্ক : দুরাবস্থা আর শেষ হলো না বরং শুনতে হলো নিষেধাজ্ঞার খবর। এতোটাই খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অবস্থা। সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগে জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করেছে আইসিসি। আইসিসির এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে জিম্বাবুয়ের জার্সিতে ১২ টেস্ট, ৯৭ ওয়ানডে ও ৩২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা ক্রিকেটকেই বিদায় বললেন। এভাবে যেন ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চাননি সিকান্দার রাজা। ক্রিকেট নাইন্টি সেভেনে উঠে এসেছে তার আক্ষেপের কথা।
ডানহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে ছিলেন নির্ভরতার প্রতীক হয়ে। সিকান্দার রাজা জিম্বাবুয়ে দলের সেরাদের সেরা একজনের নাম। ব্যাটিং ও বোলিং নৈপুণ্যে দলের বিপদে দলকে জয়ের পথ দেখিয়েছেন তিনি। দেশের বাইরেও রয়েছে তার সুনাম। টুইটারে আবেগঘন এক বার্তায় ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন সিকান্দার রাজা। আইসিসির কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রেখেই বিদায় বললেন সিকান্দার রাজা।
‘কিভাবে একটি সিদ্ধান্ত একটি দলকে অচেনা করে দিতে পারে? কিভাবে একটি সিদ্ধান্ত অনেকগুলি মানুষকে বেকার করে দিতে পারে? কিভাবে একটি সিদ্ধান্ত অনেকগুলো ক্যারিয়ার নষ্ট করে দিতে পারে? নিশ্চিতভাবেই আমি এই ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলতে চাইনি আইসিসি।’
আইসিসির পূর্ণ সদস্য ছিল জিম্বাবুয়ে। ক্রিকেট বোর্ড পরিচালনায় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে এবার নিষিদ্ধের সঙ্গে সদস্যপদ হারায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। এতে করে আইসিসির কাছ থেকে কোনো প্রকার অনুদান পাবে না তারা, এমনকি আইসিসির কোনো ইভেন্টে অংশগ্রহণও করতে পারবে না দল। লন্ডনের আইসিসির বার্ষিক সভায় এমন সিদ্ধান্ত এসেছে।
আবারও দুর্নীতির অভিযোগ, আবারও টালমাটাল জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। গেল মাসে দুর্নীতি তদন্তের জন্য জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান প্রশাসনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে দেশটির ক্রীড়া এবং চিত্ত বিনোদন সম্পর্কিত কমিশন (এসআরসি)।
পরবর্তীতে তারা একটি অন্তর্র্বতীকালীন কমিটি গঠন করে। যা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির নিয়ম বিরোধী। আর এসব কারণেই আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। আইসিসি সংবিধানের ২.৪ ধারার ‘সি’ ও ‘ডি’ অনুচ্ছদে লঙ্ঘন করেছে তারা।
আপনার মতামত লিখুন :