শ.ম.গফুর, উখিয়া,কক্সবাজার থেকে: উখিয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ধর্ষণ নিয়ে। এবার ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে খুরশেদ আলম জাহেদ (৩৩) নামের এক ব্যক্তি। সে মধ্যম ডিগলিয়াপালং কেরামইত্তা পাড়ার মো. কালুর ছেলে।
এর আগে গত ১১ জুলাই স্থানীয় মসজিদের এক ইমাম ২য় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এঘটনায় পুরো উখিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে থানায় একটি মামলা হয়। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো ৫ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা চালানো হয়। এ নিয়ে এলাকায় নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তার ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে কোচিং করার জন্য সকাল ৮ টায় স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। প্যারা শিক্ষক নুরুল আলম নুরু বিদ্যালয়টির দরজা-জানালা খুলে দিয়ে পাশ্ববর্তী দোকানে নাস্তা করতে গেলে ওই মুহুর্তে জাহেদ স্কুলের ক্লাস রুমে ঢুকে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকারে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা দৌড়ে গিয়ে প্যারা শিক্ষক নুরুল আলমকে বললে সে সাথে সাথে স্কুলে আসে। এসময় দরজা খুলে জাহেদ পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ করিমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করার পরও মোবাইল সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, জাহেদ ইতোপূর্বে এ ধরণের একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে স্কুলে অধ্যায়রত ছাত্র-ছাত্রীরা জাহেদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, এর উপযুক্ত বিচার না হলে তারা ক্লাস বর্জন করতে বাধ্য হবে। এছাড়াও ইউএনও এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর বলেন, এ ধরণের ঘটনা আমাকে কেউ অবগত করেনি। তবে এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: সুতীর্থ বড়াল
আপনার মতামত লিখুন :