আরিফা রাখি : ১৬ জুলাই মঙ্গলবার বরগুনায় প্রকাশ্যে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতারের বিষয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা অপরাধীর বিচার চায় বিচারিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা, ০০৭ বন্ড বাহিনী গড়ে ওঠা, বড় ধরনের খুন, মাদক ব্যবসায় তরুণদের সম্পৃক্ততা; এসব বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। দ্রুত গতিতে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে রিমান্ডে নেয়া হলো, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসপির বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, মিন্নি জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।
মহিলা পরিষদ তাদের বিবৃতিতে আরো বলেছে, আমাদের বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময়ে একটা আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। দেশের আইনজ্ঞ যারা আইনের ব্যাখ্যা করেন তাদের মধ্যে জেন্ডার সংবেদনশীলতা কতটুকু আছে তা জানা দরকার। বহু গুরুতর অপরাধ, শত খুনের আসামির পাশেও তারা দাঁড়ান। নারী নির্যাতন না শুধু হত্যাকারীদের পাশেও দাঁড়ান। বহু হত্যাকাণ্ডে তারা আসামির পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন যে, মানবাধিকার নীতিমালা অনুযায়ী আসামিরও লিগ্যাল প্রটেকশন পাওয়ার অধিকার আছে। তাই বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আশা করে, এ হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ, আইনানুগ, স্বচ্ছ তদন্ত হবে এবং আসামি মিন্নিও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার নিশ্চিত করা হবে।।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের দাবি এখানে যেন স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, উচ্চমহলের প্রভাবমুক্ত, রাজনীতিক চাপমুক্ত, উচ্চ প্রশাসনিক চাপমুক্ত বিচারিক প্রক্রিয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :