শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১৯ জুলাই, ২০১৯, ০৫:১৮ সকাল
আপডেট : ১৯ জুলাই, ২০১৯, ০৫:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাসের হার বৃদ্ধির সঙ্গে শিক্ষার মানের বিষয়েও গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ড. এমাজউদ্দীন আহমদ

আমিরুল ইসলাম : এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল গত বছরের চেয়ে ভালো হয়েছে এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা সম্ভব হয়েছে। সার্বিকভাবে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, পাসের হার বৃদ্ধির সঙ্গে শিক্ষার মানের বিষয়েও গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এখন ফলাফলকে দেখছি এক রকমভাবে, তারা যখন ভর্তি পরীক্ষা দেবে তখন তারা কেমন ফলাফল করে সেটার উপর নির্ভর করবে রেজাল্ট কতোটা ভালো হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল ভালো, কিন্তু কি মান অর্জিত হচ্ছে সেটা দেখা যাবে ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্টের মাধ্যমে। রেজাল্ট ভালো হচ্ছে, কিন্তু তার সঙ্গে শিক্ষার মান কতোটা উন্নত হচ্ছে সেটা দেখার বিষয়। এখন ছেলেমেয়েদের জিপিএ-৫ পাওয়ার একটা নেশা আছে এবং শিক্ষকদেরও জিপিএ-৫ দেয়ার একটা নেশা আছে। যারা ফলাফল প্রকাশ করছে তারা মনে করছে বেশি বেশি পাসের হার দেখাতে পারলেই ভালো। তারা এটাকে সরকারের একটা সাফল্য মনে করে, কিন্তু পাসের হার বৃদ্ধির সঙ্গে শিক্ষার মানের বিষয়টিকে মাথায় রাখতে হবে। সরকারের সাফল্য হবে, ভালো ফলাফলের সঙ্গে শিক্ষার মানও যখন ভালো হবে।

শিক্ষার্থীরা এতো ভালো রেজাল্ট করে এবং এতো বেশি জিপিএ ফাইভ পেয়ে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে কৃতকার্য হতে পারে না বা খারাপ ফলাফল করে। এজন্য শুধু পাসের হার বৃদ্ধি পেলেই খুশি হওয়ার কিছু নেই। ফলাফল বৃদ্ধির হার শিক্ষার মানের সঙ্গে মিল হয় না। আমাদের সময় দেখা যেতো যারা ভালো ফলাফল করতো তারা তাদের ফলাফলের মাধ্যমে ভালো একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জায়গা করে নিতে পারতো। তখন বিদেশে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়েও কেউ ফেল করতো না। যে যেদেশে যেতো পারতো সবাই নিজ দেশের ও প্রতিষ্ঠানের স্ট্যান্ডার্ডটা দেখিয়ে আসতে পারতো ।

আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বিদেশি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলে ফিরিয়ে দিতে পারতো না। কিন্তু এখন এটা অহরহ দেখা যায়। আগে শিক্ষার্থীরা জার্মানি গিয়ে ভাষা শিখে মাস্টার্স ও পিএইচডি করে আসতো। এখন এটা একেবারে রেয়ার হয়ে গেছে। আইএলটিএসে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারে না। এটা খুব দুঃজনক। তাই শিক্ষার মানের ব্যাপারে সরকারের গুরুত্ব বাড়াতে হবে। শুধু পাসের হার বৃদ্ধি করার মাঝেই সাফল্য নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়