রাশিদ রিয়াজ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চারজন অশ্বেতাঙ্গ নারী কংগ্রেসের সদস্যের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্য করে গুরুতর অপরাধ করেছেন এমন অভিযোগে বুধবার টেক্সাস থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেটিক সদস্য আল গ্রিনের আনা ইমপিচমেন্ট বাতিল হয়ে গেছে। ডেমোক্রেটিক নেতৃত্বের আপত্তির কারণে সরাসরি ভোটের পরিবর্তে এক পদ্ধতিগত ভোটে প্রস্তাবটি কংগ্রেসে উঠলে ডেমোক্রেটিক পার্টির ১৩৭ জন সদস্যসহ মোট ৩৩২ সদস্য প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন। সিএনএন/বিবিসি
ডেমোক্রেটিক পার্টির মাত্র ৯৫ জন সদস্য ইমপিচমেনেটর পক্ষে ভোট দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে নিজের জন্য বিজয় বলে অভিহিত করেছেন। নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রিনভিলে এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘ইমপিচমেন্টের দিন শেষ। অনেক হয়েছে, আর নয়। এখন সবাইকে যার যার কাজে ফিরে যেতে হবে। ওই সমাবেশে ‘সেন্ট হার ব্যাক’ অর্থাৎ ‘তাকে ফিরিয়ে দাও’ এমন স্লোগান ওঠে। অর্থাৎ ট্রাম্প যে চারজন কংগ্রেসওমেনকে যুক্তরাষ্ট্রে ভাল না লাগলে নিজ দেশে চলে যাওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন এধরনের স্লোগান তারই প্রতিধ্বনি।
আল গ্রিনের উত্থাপিত প্রস্তাব যে ব্যর্থ হবে, এতে কোনো সন্দেহ ছিল না। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও দলের শীর্ষ নেতারা গোড়া থেকেই এধরনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। কংগ্রেসের বিভিন্ন কমিটি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে তদন্ত করছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব উত্থাপন করতে চাইছিলেন না। ২৪ জুলাই বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার কংগ্রেসের সামনে যে সাক্ষ্য দেবেন, পেলোসি তার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন।
আল গ্রিন অবশ্য গতকাল সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে বর্ণবাদী অবস্থান নিয়েছেন, এর প্রতিবাদ না করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের ব্যাপারে আমাদের কার কী অবস্থান, বিশ্বের সম্মুখে তা স্পষ্ট করে জানানোর সময় এসেছে।’ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইসপিচমেন্টের প্রস্তাব ছিল আল গ্রিনের তৃতীয় চেষ্টা। তিনি ২০১৭ ও ২০১৮ সালে একই প্রস্তাব এনেছিলেন। ২০১৭ সালে ৬৬ জন ও ২০১৮ সালে ৫৮ জন ডেমোক্রেটিক সদস্য তার ওই প্রস্তাবে সমর্থন জানান।
আপনার মতামত লিখুন :