যায়েদ হোসেন : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ২ হাজার কোটি টাকার কাজ চলমান থাকায় ছাত্রলীগের এবারের সম্মেলনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে শীর্ষপদে আনতে সিন্ডিকেটের দৌড়ঝাপ বেড়েছে। সিন্ডিকেটের নেতাকর্মীরা তাদের অনুসারীদের শীর্ষ পদে আনতে লবিং তদবির করে যাচ্ছেন। আগামী ২০ জুলাই ছাত্রলীগের সম্মেলনে শীর্ষপদে নেতাকর্মীদের আনতে সজাগ রয়েছে সাবেক ছাত্রলীগের সিন্ডিকেট।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে শীর্ষপদ পেলেই নেতারা রাতারাতি কোটিপটি হয়ে যান। পুরান ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকার এ ক্যাম্পাসের অবস্থান হওয়ায় তারা নিয়মিত চাঁদাবাজি করে অর্থের পাহাড় গড়ে তোলেন। তারা ক্যাম্পাসের আশপাশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, বাসস্ট্যান্ড, লেগুনা স্ট্যান্ড, বিভিন্ন খাবারের দোকান, রেঁস্তোরা, ফুটপাত, শো-রুম, ফটোকপি দোকান মালিক সমিতি, হাসপাতাল, কুরিয়ার সার্ভিস, কোচিং সেন্টার, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির থেকে নিয়মিত ও মাসিক চাঁদা আদায় করেন।এসব জায়গা থেকে প্রতিমাসে প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকা আদায় করে থাকেন জবি ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা। এছাড়া বিশ্বদ্যালয়ের ছোট বড় সকল ধরনের টেন্ডার বাগিয়ে নেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসসহ কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রেম ঘটিত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কিন্তু আবার ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষে জড়ালে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :