শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০১৯, ০৭:৫৯ সকাল
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০১৯, ০৭:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বের বৈচিত্রপূর্ণ কারাগার

সাইদুর রহমান: কারাগার শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে উঁচু দেওয়াল ঘেরা যায়গা যেখানে বিভিন্ন অপরাধীদের রাখা হয় আবার সেই সব বিখ্যাত ব্যক্তিদের ও কারাগারে রাখা হয়, যারা কারাবন্দি থেকেই তাদের নিজের দেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে উজ্জ্বল করেছেন।

এমন কিছু কারাগার রয়েছে যেগুলির পরিবেশ অনেক ভালো সেখানে পড়াশুনা, খেলাধুলা করা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আছে অন্যদিকে বিশ্বের অনেক কারাগারের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ এক কথায় দুনিয়ার জাহান্নাম বলা যায়।

ক্যাম্প ২২, উত্তর কোরিয়া: উত্তর কোরিয়ার Haengyong Concentration Camp-কে ক্যাম্প ২২ বলা হয়। উত্তর কোরিয়ার Great Leader-দের বিরুদ্ধে কেউ কোনো সমালোচনা বা রাষ্ট্রদ্রোহিতা করলেই এই কারাগারে বন্দি করা হয়, এমনকি তিন পুরুষ ধরেও পর্যায়ক্রমে পরিবারের সদস্যদের এখানে ধরে আনা হয় যাতে আন্দোলনের শিকর উপরে ফেলা যায়। ১৯৬৫ সাল থেকে এখানে প্রায় ৫০,০০০ জন বন্দি আনা হয় এবং বিভিন্ন সময় এদের ল্যাবে রাসায়নিক বোমা সহ অনেক কিছুর জন্য গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

টাডমোর মিলিটারী প্রিজন সিরিয়া: এ্যামনেস্টি রইন্টারন্যাশনাল এরমতে এটি সর্বাধিক মানবাধিকার লঙ্গিত কারাগার গুলোর একটি। ১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল আসাদ তার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেছে মুসলিম ব্রাদারহোড এই অভিযোগে ২ সপ্তাহে এই কারাগারে প্রায় ২৪০০ বন্দিকে হত্যা করেন।

গিতারামা কেন্দ্রিয় কারাগার, রুয়ান্ডা: এই কারাগার কে পৃথিবীর নরক বলে অভিহিত করা হয়। এই কারাগারে প্রতি বর্গফুটে ৪ জন বন্দিকে একসাথে থাকা খাওয়া ও ঘুম সারতে হয়।সহবন্দির মাংস খাওয়ার মত জঘন্য অপরাধ এখানে সংগঠিত হয়।

বুইটরাইকা কারাগার, মস্কো, রাশিয়া: এটি একটি রাশিয়ান ট্রানজিট কারাগার। আনুমানিক ২০,০০০ জন বন্দিকে এখানে হত্যা করা হয়। এইডস এবং যক্ষা এখানে মহামারীর মত লেগে থাকে।

আলা কার্টাজ আইল্যান্ড প্রিজন, সান ফ্রান্সিসকো, আমেরিকা: এই কারাগার কে শয়তানের দ্বীপ বলা হয়। জনমানব বিচ্ছিন্ন পরিবেশে বন্দীদের একে অপরের সাথে দেখা বা কথা বলাও নিষেধ। এটা নিয়ে হলিউডে অনেক চলচিত্র নির্মিত হয়েছে।

সান জুয়ান ডি লুরিঘানচো, লিমা, পেরু: দক্ষিণ আমেরিকার এই কারাগারে বন্দিদের গাদাগাদি করে রাখা হয়। এখানে বন্দিরা তাদের ইচ্ছে মত জিনিস ক্রয় বিক্রয় করতে পারে এমনকি মাদক পর্যন্ত। পতিতাদের এখানে নার্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

মনটেলোপিচ কারাগার, পোল্যান্ড: পৃথিবীর অন্যতম ভয়াবহ নাতসি কারাগার গুলোর মধ্যে এটি একটি। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় এখানে আনুমানিক ৫০,০০০ লোককে মধ্যযুগিয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়্ যার বেশির ভাগই ছিল গুপ্তচর সন্দেহে ধরে আনা ব্রিটিস এবং রাশিয়ান লোক।

ব্রাজিলের ইটুয়ানা কারাগার: এই কারাগারে কোন কারারক্ষী নেই , কোন অস্ত্র নেই। বন্দিদের জন্য নির্দিষ্ট কোন ড্রেস কোড নেই, বন্দিরা নিজেদের কাপড় পড়তে পারেন, বন্দিদের সেলে রয়েছে আয়না ও মেকআপ করার সরঞ্জাম। কারাগারে রয়েছে ‘কনজ্যুগাল সুইট’ , যেখানে রয়েছে ডাবল বেড খাট। দেখা করতে আসা প্রিয়জসদের সঙ্গে বন্দীরা এখানে ঘনিষ্ট সময় কাটাতে পারেন। নিয়মিত বই পড়ার কঠোর নিয়ম এখানে পালন করা হয়।

আন্তোনিও কারাগার: এই কারাগারে দেশি-বিদেশী প্রায় দুই হাজার কারাবন্দী রয়েছে, তবে তাদের সকলের অভিন্ন একটি পরিচয় রয়েছে- তারা সকলেই বিম্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী। এই কারাগারের ভিতরে নারী পুরুষের আলাদা সেল থাকলেও কারাগার প্রাঙ্গনে তারা অবাধ মেলামেশা করতে পারেন। বন্দিরা অবাধে মাদক সেবন ও ধূমপান করে থাকেন। বসে জুয়ার আসর। পাশাপাশি কয়েদিরা নিজেদের খরচেই উপরি-বিনোদনের জন্য গড়ে তুলেছেন মদের বার ও প্লে-বয় কেন্দ্র। চারটি সুইমিং পুল ও আছে যেখানে বিকিনি গার্লের সহচার্য নেন পুরুষ বন্দীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়