সোহাগ হোসেন, (মির্জাগঞ্জ) পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সুবিদখালী নিজ গ্রামে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন যমুনা গ্রুপের কাভার ভ্যানের চাপায় নিহত পুলিশ সার্জেন্ট গোলাক কিবরিয়া (মিকেল)। তিনি মির্জাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুচ আলী সরদারের একমাত্র পুত্র।
সোমবার সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্নকাঠী জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। দুপুর ১২.০০ টার দিকে যমুনা গ্রুপের বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ড ভ্যানকে থামার সংকেত দেন তিনি। ভ্যানটি সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কিবরিয়া একটি মোটর সাইকেলে ধাওয়া করে ভ্যানটির সামনে গেলে ভ্যানটি সার্জেন্ট কিবরিয়াকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিমে নিয়ে যাওয়া হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাৎক্ষনিক এয়ার এ্যাম্পুলেন্স যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে সার্জেন্ট কিবরিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে তার নিজ গ্রামের বাড়িতে লাশ নিয়ে আসা হয় এবং উপজেলার সুবিদখালী সরকারি রহমান ইস্হাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সকাল ১১টায় জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজে শোকাহত জনতার ঢল নেমে আসে। ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন পেশার হাজার হাজার মানুষ জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে কফিনে পুস্পস্তাবক অর্পণ করে তাকে শ্রদ্ধা নিদেবন করা হয়। এর আগে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
জানাজা নামাজে অংশগ্রহণ করেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সংসদ সদস্য আলহাজ এ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া, পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মো. মাঈনুল ইসলাম ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী প্রমুখ। জানাযা নামাজ পরিচালনা করেন মির্জাগঞ্জ উপজেলার চত্রা ওলামা মঞ্জিল ছালেহিয়া দ্বীনিয়া কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ মাও. এ.কে.এম মোতাহার হোসাইন সুফী সাহেব হুজুর। সম্পাদনা : মিঠুন রাকসাম
আপনার মতামত লিখুন :