হ্যাপি আক্তার : প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে চট্টগ্রামের ১৩টি খাল। খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করলেও, প্রভাবশালীদের চাপে দীর্ঘদিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি সিটিকরপোরেশন ও সিডিএ। ডিবিসি নিউজ, ৯:০০।
সম্প্রতি খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠা অবৈধ বসতি উচ্ছেদ শুরু করেছে সিডিএ ও সেনাবাহিনী।
চট্টগ্রামের চাক্তাই খাল দিয়ে এক সময় নৌকা চলাচল করলেও, এখন তা দখল আর আবর্জনায় কমে গেছে খালের গভীরতা। প্রভাব বিস্তার করে দখলদাররা খাল ভরাট করে গড়ে তুলছে অবৈধ স্থাপনা।
স্থানীয়রা বলছেন, এর আগেও এই খাল দখল মুক্ত করার জন্য চেষ্টা চালানোর পরও ব্যর্থ হয়েছে। এবারও তা দখল মুক্ত হয়ে কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত নগরবাসী।
২০১৫ সালে গঠিত চাক্তাই খাল সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি দখলদারদের একটি তালিকা তৈরি করে। কিন্তু দখলদারদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।
নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, যারা এই খালগুলোর দখলদার তারা কাউকে না কাউকে ম্যানেজ করেই এটি করেছে। আর যারা খালগুলোর তত্ত¡াবধানের দায়িত্বে আছে তারাও তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেনি। উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পর যে সম্ভাবনা জেগেছে, তার যেন অপমৃত্যু না হয়। সফলভাবেই যাতে এটি পরিচালনা করা হয়।
অবৈধ স্থাপনার মাধ্যমে বেদখল হয়েছে প্রায় ১২৩ একর ভ‚মি। ১৩টি খালে এক হাজার ৫৭৬টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছে সিডিএ। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম বলেন, খালগুলোতে যে সকল অবৈধ স্থাপনা আছে এবং ভবিষ্যতেও যদি কেউ দখল করে সেটাও উচ্ছেদ করা হবে। কেউ যদি আশা করে থাকে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে যাবে, তাহলে তার আশা নিরাশায় পরিণত হবে।
পর্যায়ক্রমে ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সম্পাদনা : রাশিদুল
আপনার মতামত লিখুন :