মোরশেদ শফিউল হাসান : না এরশাদের শারীরিক মৃত্যু নিয়ে আমার আলাদা কোনো মন্তব্য নেই। ভালোমন্দ সব লোককেই একদিন চলে যেতে হবে। ঈশ্বর বা আল্লাহর অস্তিত্বে আমরা কেউ বিশ্বাস করি বা না করি, ধর্ম মানি বা না মানি, মৃত্যুর অনিবার্যতা কেউই অস্বীকার করতে পারি না (সবসময় মনে রাখলে নিজের না হোক, পৃথিবীর কতো যে উপকার হতো)।
তবু বন্ধু হোক কিংবা শত্রু, সজ্জন কিংবা দুর্জন, কেউ একজন চিরতরে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলো, আর কখনো এখানে ফিরে আসবে না, ভাবলে মনটা আমার আপনাআপনিই কমবেশি খারাপ হয়ে যায়, কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভারি হয়ে উঠে। মনে হয়, আমাকেও এভাবেই একদিন হয়তো অনেক স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই, অনেক কাজ শেষ না করেই চলে যেতে হবে। কেউ বা কোনো কিছুই আটকে রাখতে পারবে না। এরশাদের রাজনৈতিক মৃত্যু তো ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বরেই হওয়ার কথা। যতো অঘটন-ঘটন-পটিয়সীই হোন, তিনি যে আবার কখনো বেঁচে উঠবেন, ক্ষমতার স্বপ্ন দেখতে পারবেন, এমন সম্ভাবনার কথা কি উনত্রিশ বছর আগের ওই ডিসেম্বরে তিনি ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পেরেছিলেন? (দেশি-বিদেশি) কারা নিজেদের স্বার্থে ও সুবিধার্থে বিভিন্ন সময় তাকে কখনো কোরামিন, কখনো ডায়ালিসিস আর কখনো বা লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন? তারাই বরং এখন হিসাব-নিকাশ করতে বসুন, ভাবতে থাকুন এরশাদের অভাব অতঃপর তারা কীভাবে পূরণ করবেন। নতুন করে খেলার জন্য গুটি সাজান। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :