আবুল বাশার নূরু: সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা যাওয়ায় তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়। এখন সংবিধান অনুসারে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনে জয়ী হয়ে আমৃত্যু বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্বে ছিলেন এরশাদ। সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া মঙ্গলবার আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৩০ আষাঢ় ১৪২৬/১৪ জুলাই ২০১৯ তারিখ পূর্বাহ্ণে মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২১ রংপুর-৩ আসনটি ওই তারিখে শূন্য হয়েছে।
সংবিধানের ১২৩(৪) দফায় বলা হয়েছে, ‘সংসদ ভাঙিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে (তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে)।’
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, আসন শূন্য হওয়ার দিন থেকেই নব্বই দিন গণনা করা হয়। এক্ষেত্রে আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে ওই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদের তালিকায় শূন্য এরশাদের আসনের বিষয়ে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, ‘সংসদ সচিবালয় গেজেট প্রকাশের পর আমরা উপ-নির্বাচনের জন্য বিষয়টি কমিশনের কাছে উত্থাপন করি। কমিশনই সিদ্ধান্ত নেন, কখন ভোট হবে। বিষয়টি শিগগিরই কমিশনে তোলা হবে।’
সংসদ সচিবালয় ইতোমধ্যে এরশাদের আসনটি শূন্য ঘোষণা করার পাশপাশি ওয়েবসাইট থেকে তার নাম সরিয়ে নিয়েছে।
গত ১৩ জুলাই ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মত্যুবরণ করেন এরশাদ। সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :