আবদুল অদুদ : বিদেশগামী যাত্রীদের হয়রানি ও প্রতারণা করে এমন দালালদের আইনের আওতায় আনতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহায়তা চেয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।-বিডিনিউজ ২৪ ডটকম
ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান তিনি।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, আমি ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দিইনি, আমি তাদের কাছে সাহায্য চেয়েছি। আমি বলেছি, দালালদের ধরেন, যে দালালরা গরিব মানুষদের লুটেপুটে দেড় লাখ টাকার জায়গায় সাত লাখ টানা নেয়।
আমরা চেষ্টা করছি যাতে পুরো অভিবাসন প্রক্রিয়াকে একটা সিস্টেমে ফেলতে পারি, গরিবরা যাতে সেইফলি বিদেশ যেতে পারে, এই ব্যবস্থা যাতে হয়।
বিদেশগামীদের স্মার্টকার্ড নেয়াসহ সব প্রক্রিয়া শেষ করতে ঢাকায় আসার বাধ্যবাধকতা থাকায় তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ডিসিরা এই প্রক্রিয়া জেলায় জেলায় করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, এ বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে সেই প্রশ্ন ছিল ইমরানের কাছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাব দিলেও আমরা আগেই কাজ আরম্ভ করেছি। বিদেশগামীদের নিবন্ধন করার কাজ হাতে নিয়েছি, আমরা চেষ্টা করবো একেবারে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার থেকে যাতে তারা নিবন্ধন করতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা করবো।
সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বিদেশযাত্রা নিয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমি তো পুরো সমুদ্র পাহারা দিয়ে রাখতে পারব না। যারা ওদের নিয়ে যায়, আমরা যদি তাদের চিহ্নিত করে ধরতে পারি, তবে আমরা কাউকে ছাড়ব না। এদের ধরতে একটু সময় লাগতে পারে।
ইমরান বলেন, “যারা বৈধভাবে বিদেশে গিয়ে মারা যান, তারা দেশে আসলে এয়ারপোর্টেই আমরা দাফনের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে দেই। এরপর কল্যাণ ফান্ড থেকে আরও তিন লাখ টাকা দেই।
যারা অবৈধভাবে গেছে তাদের নিয়ে কিছুটা সমস্যা হয়। আমি আসার পর সেখানেও (অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়া কেউ সেখানে মারা গেলে) আমরা খরচটা বহন করি। অনেক টাকা আমরা বিভিন্ন দূতাবাসে পাঠাই লাশ বহনের জন্য। বৈধ হোক অবৈধ হোক আমরা চেষ্টা করি সব সময় লাশ নিয়ে আসার জন্য।
বিদেশগামী যাত্রীদের হয়রানি রোধে এজেন্সিগুলোর ভূমিকা থাকতে হবে জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, আমরা এজেন্সিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছি। আর দালালদের কাট করার একটা সিস্টেম করতে হবে। যারা বিদেশে যেতে ইচ্ছুক তারা যেন সরাসরি নিবন্ধন করেন, এরপর প্রক্রিয়া হল- তখন যে টাকা লাগে তা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বা অন্যান্য ব্যাংকে জমা দেন, মেডিকেল ফিসসহ সব ধরনের খরচ ওখান থেকে করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :