সোহেল রানা, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চোরাই কাঠ বোঝাই পিকআপ গাড়ি আটক করেছে স্থানীয় কামারছড়া বনবিটের বনকর্মীরা। চালকসহ চোরাই কাঠ বোঝাই পিকআপ গাড়ি আটকের পর সোমবার বিকালে রাজকান্দি রেঞ্জ অফিসে হস্তান্তর করা হয়। রেঞ্জ অফিসে হস্তান্তরের প্রায় ৬ ঘণ্টার মাথায় মোটা অংকের রফাদফায় আটক গাড়ি চালককে রেঞ্জ অফিস থেকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বন বিভাগ বলছে গাড়ি চালককে ছাড়া হয়নি, তাকে জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সিলেট বন বিভাগের কমলগঞ্জের রাজকান্দি রেঞ্জের কামারছড়া বন বিটের সংরক্ষিত বন থেকে গাছ কেটে সোমবার দুপুরে পিকআপ ভ্যান (গাড়ি) বোঝাই করে পাচার করছিল। এ সময় কামারছড়া বনবিট কর্মকর্তারা গাড়িটি ধাওয়া করে কমলগঞ্জ পৌর এলাকার নসরতপুর গ্রাম থেকে চালকসহ চোরাই কাঠ বোঝাই গাড়িটি আটক করে। পরে আটক গাড়ি নিয়ে রাজকান্দি রেঞ্জ অফিসে আসার পথে হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে গাড়ির চালক ফয়জুল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় চালক ফয়জুল মিয়াকে আটক করে বন বিভাগ। আটকের পর পরই চালকসহ চোরাই কাঠ বোঝাই গাড়িটি ছাড়িয়ে নিতে লবিং করে কাঠ পাচারকারি চক্র। তাতে ব্যর্থ হয়ে আটকের ৩/৪ ঘন্টার মাথায় সোমবার রাত ১১টার দিকে গ্ড়ি চালক ফয়জুলকে ছেড়ে দেয় বন বিভাগ।
অভিযোগ উঠেছে কামারছড়া বনবিট কর্মকর্তা মোটা অংকের বিনিময়ে রেঞ্জ অফিস থেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন।
রাজকান্দি রেঞ্জ ও কামারছড়া বন বিট সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় এক পৌর কাউন্সিলার ও স্থানীয় দুই ইউপি সদস্যের (মেম্বার) জিম্মায় গাড়ি চালককে দেওয়া হলেও চোরাই কাঠসহ পিকআপ গাড়িটি রাজকান্দি রেঞ্জ অফিসের হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে কামারছড়া বন বিট কর্মকর্তা বজলুর রহমানকে একাধিক বার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কমলগঞ্জের রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো:আবু তাহের চোরাই কাঠসহ গাড়ি আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন। কিন্তু চোরাই কাঠ বোঝাই গাড়ি চালকসহ আটকের পর চালককে কোন আইনে ছাড়া হলো- এ এমন প্রশ্নের কোনো জবাব মিলেনি রাজকান্দি রেঞ্জের ওই বন কর্মকর্তার কাছে। সম্পাদনা : মিঠুন রাকসাম
আপনার মতামত লিখুন :