রাশিদ রিয়াজ : মার্কিন নারী ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন মেগান র্যাপিনো বলেছেন, ট্রাম্প তার বার্তার মাধ্যমে আদতে দেশবাসীর মধ্যে বৈষম্য তৈরি করছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রত্যেক মার্কিন নাগরিকের প্রতিই তার সমান যতœশীল হওয়া উচিত। মেগানের নেতৃত্বে নারী ফুটবলে সদ্য বিশ্বকাপ জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। আনুষ্ঠানিক ভাবে তার দলকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণও জানালেও মেগান ফের সেই আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি যাচ্ছি না। দলের সকলের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ওরাও যেতে আগ্রহী নন।’
মেগান বলেন, ‘সেজেগুজে হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে থাকার কোনও মানে হয় না। তার বদলে ওয়াশিংটনে বহু মানুষ আছেন, যাদের সঙ্গে কথা বললে ওদের জীবনে অর্থবহ পরিবর্তন আসতে পারে।’ মেগানের কথায়, ‘এত খেটেখুটে যে মঞ্চ আমরা তৈরি করেছি, যা কিছুর জন্য আমরা লড়ছি এবং যে ভাবে আমরা আমাদের জীবনটা বাঁচছি, দলের কোনও সদস্যই চাইবে না ট্রাম্প প্রশাসন তাকে নষ্ট করে দিক।’
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও একবার ‘সকল দেশের সেরা’ বানানোর স্বপ্ন দেখিয়েছেন ট্রাম্প। মেগান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে হৃতগৌরব ফিরিয়ে দেওয়ার যে স্লোগান ট্রাম্প তুলেছেন, মনে রাখতে হবে সেই যুক্তরাষ্ট্রও সকলের জন্য দারুণ জায়গা ছিল না। হয়তো কিছু লোকের জন্য স্বর্গ ছিল, এখনও কিছু মানুষের জন্যই তা সুন্দর। কিন্তু বিশ্বের সমস্ত মার্কিনদের জন্য দেশটা এখনও মহান নয়।’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়ে মেগান বলেছেন, ‘এই দেশের প্রধান হিসেবে আপনার প্রভূত দায়িত্ব রয়েছে। প্রত্যেকের ভালর জন্য আপনাকে ভাবতে হবে।’
সাংবাদিকদের দেয়া সাক্ষাৎকারে মেগানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ট্রাম্পকে কী বার্তা দিতে চান তিনি। সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বিদ্রোহী মেয়ের উত্তর, ‘আপনার বার্তা বিভেদ তৈরি করছে। আপনি আমাকে বাদ দিচ্ছেন, যারা আমার মতো তাদেরকেও বাদ দিচ্ছেন। আপনি বর্ণ ভেদ করছেন। আপনি সেই সব মার্কিনদেরও বাদ দিচ্ছেন যারা হয়তো আপনাকেই সমর্থন করত।’
তবে হোয়াইট হাউসে না গেলেও সিনেটে ডেমোক্রেটদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মেগানরা। ডেমোক্রেট নেত্রী অ্যালেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়া কর্তেজ, হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমারের সঙ্গে তিনি দেখা করতে আগ্রহী বলে জানান মেগান।
আপনার মতামত লিখুন :