শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০১৯, ১০:০৬ দুপুর
আপডেট : ১৬ জুলাই, ২০১৯, ১০:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কলেজ ক্যাম্পাসে ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে শিক্ষকের মারধর

মুসবা তিন্নি : কলেজ ক্যাম্পাসে ঝালমুড়ি বিক্রির ‘অপরাধে’ এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে পিটিয়ে আহত করেছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক আহসান কবির রানা। সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শিক্ষক রানা কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান। এর আগেও বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। নিরাপরাধ ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় জনগণ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন তারা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মারধরের শিকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফজলু মল্লিকের পুরো শরীর লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত।
শিক্ষার্থীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে জাহিদ ও সালাম নামে কলেজের দুই কর্মচারী এসে ওই ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে অফিসে ডেকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর তিনি কাঁদতে কাঁদতে অফিস থেকে বেরিয়ে এলে তার সারা শরীরে লাঠির আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। এভাবে কোনো দাগী অপরাধীকেও মানুষ পেটায় না। এই ফজলু মামা (ঝালমুড়ি বিক্রেতা) সারাদিন ক্যাম্পাসে বেচাবিক্রি শেষে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে পড়ে থাকা সমস্ত কাগজ ঝাড়ু দিয়ে পুড়িয়ে দেন।

নির্যাতনের শিকার ফজলু মল্লিক জানান, “৮ বছর ক্যাম্পাসে ঝালমুড়ি বিক্রি করছি। প্রতিদিনের মত আজও ঝালমুড়ি বিক্রি করতে এলে রানা স্যার আমাকে ডেকে তার রুমে নিয়ে লাঠি দিয়ে পেটান। কারণ জিজ্ঞাসা করলে আরও বেশি করে মারধর করেন তিনি। পুরো শরীরে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে। বাঁ হাত নাড়াতে পারছি না। ঘটনার পর চিকিৎসার জন্য ফজলু মল্লিককে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছে তার পরিবার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক আহসান কবীর রানা বলেন, আমরা ক্যাম্পাস বহিরাগত মুক্ত করার চেষ্টা করছি। এতে কারও সঙ্গে একটু-আধটু ধাক্কাধাক্কি হতেই পারে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, রানা স্যার একজন বদমেজাজি শিক্ষক। তিনি শিক্ষক হয়ে ক্যাম্পাসে মাস্তানের ভূমিকা পালন করেন। তাই শিক্ষার্থীরা তাকে এড়িয়ে চলে। আড়ালে অনেকেই তাকে ‘মাস্তান স্যার’ বলে ডাকে। ঢাকা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়