শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০১৯, ০৮:২৫ সকাল
আপডেট : ১৬ জুলাই, ২০১৯, ০৮:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাবেক মেয়র মনজুকে আ’লীগ-বিএনপি কেউ বিশ্বাস করে না

মারুফুল আলম : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মনোনয়ন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কোন দলই বিশ্বাস করছে না সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমকে। চসিক নির্বাচনে আরেকবার মেয়র প্রার্থী হতে চান এম মনজুর আলম। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের সঙ্গেই তিনি যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গেছে। তবে তার উপর আস্থা রাখতে পারছে না উভয় দলই।

১৯৯৪ সাল থেকে টানা তিনবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে ১৬ বছর কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেন মনজুর আলম। সেই সময় মনজুর ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

২০১০ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেন মনজু। প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তৎকালীন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে।

নির্বাচনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন মনজু। পেয়ে যান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ।

২০১৫ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি আবার বিএনপির সমর্থনে মেয়র প্রার্থী হন। তবে নির্বাচনের দিন সকালে কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মনজুর আলম। যদিও এ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।

২০১৬ সালের ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের কাট্টলী এলাকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে পাশাপাশি বসেছিলেন প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মনজুর আলম। এরপরই চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গণে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, মনজুরকে আওয়ামী লীগে ফেরাতে আগ্রহী মহিউদ্দিন চৌধুরী।

মেয়র থাকাকালে মনজুরের ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা হলেও তাতে কখনো কান দেননি মহিউদ্দিন। আর মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রসঙ্গেও মনজুরের কণ্ঠে শ্রদ্ধা-ভালবাসার কথা শোনা গেছে সবসময়।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন মনজু। চট্টগ্রাম-৪ ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী হতে ধানমণ্ডি গিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন। তবে অনেক তদবির করার পরও তার কপালে মনোনয়ন জোটেনি।

মনজু মেয়র প্রার্থী হতে চাইছেন কিনা, এমন প্রশ্ন করা হয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতার কাছে। দুই দলের নেতারা উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘মনজু কি কোনো দল করেন?

অবশ্য আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আগেই বলেছিলেন, মনজুরকে বিশ্বাস করা কঠিন।

মনজুর মনোনয়ন না পাওয়া বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, মনজুকে বিশ্বাস করা আসলেই খুব কঠিন। তিনি (মনজু) কোন দল করেন নিজেও জানেন না। তিনি কখনো আওয়ামী লীগ, আবার কখনো বিএনপি। এভাবেই তিনি রাজনীতি করে আসছেন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আবার ক’দিন পরেই হয়তো দেখা যাবে বিএনপিতে চলে যাচ্ছেন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ‘মনজুকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী করার প্রশ্নই আসে না। বিএনপিতে কি মানুষের অভাব হয়েছে? তিনি (মনজু) কোন দল করেন কেউ জানে না। যদি তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখেন তা হবে অলীক কল্পনা।’

নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘মনজুর ব্যাপারে মন্তব্য না করাই উচিত। নৈতিকতা সবার মধ্যে থাকা চাই।’

এ বিষয়ে এম মনজুর আলম বলেন, ‘নির্বাচন করার ইচ্ছে তো সবারই থাকে।’ তবে কোন দল থেকে নির্বাচন করবেন তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। জয়নিউজবিডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়