নুর নাহার : বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকার বহু সড়ক। পানিতে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় বিশেষ করে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। ইনডিপেনডেন্ট টিভি ১০:০০
পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে টানা বৃষ্টিতে সড়ক ও পাহাড়ের বিভিন্ন অংশ ধসে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পানি না কমলে সড়কগুলো মেরামত করাও সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।
পানিতে ডুবে আছে কুড়িগ্রামের শত শত কাঁচা-পাকা সড়ক। চরাঞ্চল থেকে জেলা-উপজেলায় যেতে দুর্ভোগে পড়ছেন বাসিন্দারা।
সড়ক বিভাগ বলছে, যান চলাচল চালু রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রংপুর ও লালমনিরহাটে বন্যা কবলিত এলাকায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে যান চলাচল। প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতে নেয়া হচ্ছে পদক্ষেপ।
সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত ৫ উপজেলার ৮৫ শতাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও সুনামগঞ্জ সদরে প্রায় অর্ধশত কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এসব সড়ক মেরামতের আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে টানা বৃষ্টি ও ঢলে পাহাড় সড়ক ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট। রাঙামাটি-বান্দরবান, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে এখন শুধুমাত্র হালকা যান চলছে।
সড়ক বিভাগ জানিয়েছে বৃষ্টি না কমলে, মেরামতের কাজ শুরু করা সম্ভব না।
খাগড়াছড়িতে ৫ দিনের ব্যবধানে দীঘিনালা-লংগদু সড়কে দুই বার পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ি-রাঙামাটির মহালছড়ি সড়কটি একসপ্তাহ ধরে পানি নিমজ্জিত।
আর খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপমারা এলাকায় মাটি সরে গিয়ে বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। পাহাড়ধস রোধে, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা বলছে সড়ক বিভাগ।
বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের প্রধান সড়কটিও পানিতে তলিয়ে আছে। তবে পানি নামতে থাকায় শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোর সড়ক স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে। সম্পাদনা : রেজাউল আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :