শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০১৯, ০৪:০৮ সকাল
আপডেট : ১৬ জুলাই, ২০১৯, ০৪:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খাদ্য নিরাপদ করতে হলে প্রতিটি কৃষকের বাড়ি থেকে শুরু করতে হবে

মাহবুব কবির মিলন : আসুন একটি হাইপোথিসিস দিয়ে শুরু করি। মনে করুন, আমাদের মাটি পরীক্ষা করে সীসা আর আর্সেনিক মাত্রার অনেক উপরে পেলেন। পানি পরীক্ষা করলেও তাই পেলেন। চাল, শাকসবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, মুরগিতেও মাত্রার অনেক উপরে সীসা, ক্রোমিয়াম আর আর্সেনিক পেলেন। সব ধরনের মসলাতে পেলেন। এমনকি পুঁই শাকেও ভয়াবহ অবস্থা পেলেন। গরুর মাংস, দুধ ডিমে মাছে, মুরগিতে অ্যান্টিবায়োটিক পেলেন মাত্রার উপরে। চালে পেলে হয়তো গম ভুট্টাতেও পাবেন। তার মানে আটাও শেষ। এমনকি কীটনাশক এবং ফার্টিলাইজারেও সীসা পেলেন। এখন কি করবেন? সব কিছু খাওয়া ছেড়ে দেবেন? না খেয়ে মরবেন?

দেশ ছেড়ে চলে যাবেন? নাকি সব কিছুর মূল খুঁজে বের করে তার মূলোৎপাটনের সময় দেবেন? পৃথিবীর যেসব দেশে আজ আকাশে, তাদের যুগ যুগ সময় লেগেছে খাদ্য নিরাপদ করতে। এমনকি এখনো তারা জীবন পানি করে লেগে থাকে। আমাদের তো কেবল শুরু। একটি, দুটি পরীক্ষা দিয়ে যেমন বলা যাবে না সব শেষ। তেমনি একটি দুটি পরীক্ষায় ভালো পেলে শান্তিতে ঘুমানোর অবকাশ নেই যে, সব ভালো। এটি একটি অনবরত প্রক্রিয়া। আমরা সবার পরীক্ষাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্লেষণ করে থাকি, যাচাই করে তারপর নিজেরাও আবার পরীক্ষা করার পর সেই খাদ্যের গতি প্রকৃতি নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। খাদ্যকে নিরাপদ করতে হলে প্রতিটি কৃষকের বাড়ি থেকে শুরু করতে হবে। প্রতিটি খাদ্য উপাদানকে নিরাপদ করতে হবে, যেমন প্রাণী এবং মৎস্য ফিড।

খামারিদের অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভালো উৎপাদন প্র্যাকটিসে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। আবার বলছি সময় দিতে হবে। ফুড চেইন ঠিক করা খুব জটিল প্রসেস এবং সময় সাপেক্ষ। আমরা এর মধ্যে দুই ল্যাবে পরীক্ষা করে দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পাইনি। তার মানে এই নয় যে, দুধে অ্যান্টিবায়োটিক নেই বা থাকার সম্ভাবনা নেই। কেউ কিছু পেলে এই নয় যে, দুধ অ্যান্টিবায়োটিকে ভরা। সব শেষ বা ওই ল্যাব খারাপ। সিদ্ধান্ত নেবেন আরও অনেক পরে। কোম্পানিগুলো থেকে শুরু করে সবাই এ ব্যাপারে কনসার্ন। আমাদের কাজ করতে দিন, সাহায্য করুন, তথ্য উপাত্ত দিন। সফলতা ছাড়া আমাদের বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। খারাপ খবর আরও আসতে পারে। ধৈর্য ধারণ করে খাদ্যকে নিরাপদ করতে সময় দিন আমাদের। সবাই মিলে পারবো আমরা ইনশাআল্লাহ। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়