নুরুজ্জামান লাবু : পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি অমানবিক ও নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গা শিশুরা। কিন্তু ওদের হাসিমুখটা দেখেন, কী নিষ্পাপ হাসি ওদের। সামান্য পাঁচ টাকা দামের চকো, চানাচুর, লিচি আর ডাল ভাজা কিনে দিয়েছিলাম। তাতেই কি খুশি ওরা... আহা কি অমলিন হাসি... শিশুদের সঙ্গে আমার খাতির হয়ে যায় দ্রুত। তা সেটা যেখানেই হোক। ১২ জুলাই যখন কাজ শেষে রোহিঙ্গাদের সতেরো নং ক্যাম্পের একটি দোকানে এসে বসি, সেখানেই পরিচয় ছোট্ট ইয়াসমিনের সঙ্গে। ফুটফুটে ও চটপটে মেয়েটিকে একটা লিচির প্যাকেট কিনে দিলাম। তারপর একে একে আরও এলো জনা বিশেক শিশু। সবাইকে কিনে দিলাম, যে যেটা খেতে চায়। ওরা আনন্দে উচ্ছ্বাসে আমার ঘাড়ে কোলে এসে লাফিয়ে পড়ছিলো।
... যখন সকালে একই পথে ট্রেইনিং করাতে যাচ্ছিলাম তখন একটা শিশু আমাকে দেখে। সে দৌড়ে গিয়ে খবর দেয় ইয়াসমীনকে। অনেকদূর চলে যাওয়ার পর দেখি পেছন থেকে কেউ স্যার, স্যার বলে ডাকছে। পেছন ফিরে দেখি ইয়াসমীন, সঙ্গে আরও কয়েকজন। আপ্লুত আমি ওদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠালাম। ফেরার সময়ে অন্যদিকে কাজ থাকলেও ওই পথে ফিরে ইয়াসমীন এবং তার সঙ্গীদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটলো। যে যেটা খেতে চেয়েছে খাইয়েছি। আজ ছিলো ওরা ত্রিশজন। অদ্ভুত একটা অনুভূতি হলো আজ। ফিরে আসার সময় যখন ওরা টাটা দিচ্ছিলো সত্যিই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। আহা জীবন...! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :