নিউজ ডেস্ক : রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে 'গুলিবিনিময়ের' সময় পদ্মা নদীতে 'ডুবে' এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মহানগরের কাশিয়াডাঙ্গার পদ্মার পাঁচ নম্বর আই-বাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. আমিন (৩৫)। তার বাড়ি মহানগরের উপকণ্ঠ হাড়ুপুর এলাকায়।
পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি একজন মাদক বিক্রেতা। গুলিবিনিময়ের পর ঘটনাস্থল থেকে ৭৯ বোতল ফেনসিডিল, একটি একটি শুটার গান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
মহানগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী আরিফের ভাষ্যমতে, রাতে পুলিশের একটি দল পদ্মা নদীর পাঁচ নম্বর আই-বাঁধ এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে যায়। এ সময় মাদক কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়পক্ষের গুলিবিনিময়ের পর পুলিশ নদীর কিনারায় পানির মধ্যে আমিনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে।
পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ওসি বলেন, উদ্ধারের সময় আমিনের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এতে ধারণা করা হচ্ছে গুলিবিনিময়ের সময় পদ্মার পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, আমিনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটিই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে।
ওসি আরো বলেন, গুলি বিনিময়ের সময় কাশিয়াডাঙ্গা থানার তিন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল মতিন আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান। কালের কণ্ঠ
আপনার মতামত লিখুন :