মাজহারুল ইসলাম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাসের মধ্যেকার সোমবারের একান্ত বৈঠকে দু’দেশের ৩টি নৌপথ পুরোদমে সচল করার ইস্যুটি প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল। তবে দ্বিপক্ষীয় অন্যান্য বিষয়ও আলোচনায় স্থান পায়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে এ বিষয়টির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। সূত্র ; ভয়েজ অব আমেরিকা
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর জানুয়ারিতে নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় নৌপথ ব্যবহারে দু’দেশের ২৩৮টি জাহাজকে অনুমতি দেয়া হয়। এর মধ্যে ছিল ২৫টি ভারতীয় এবং বাংলাদেশের ২১৩টি জাহাজ রয়েছে। তিনটি নৌপথ পুরোপুরি চালু করতে ২৯৫ কিলোমিটার পরিত্যক্ত নৌপথ সচল করার কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে প্রকল্পগুলো হাতে নেয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় প্রথম ২ বছরে ১৫ লাখ ঘনমিটার নৌপথ খননের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে ৯৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয় হবে। যার ৮০ ভাগ বহন করবে ভারত। গত বছর অক্টোবরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারতের নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ধুলিয়ান গোদাগাড়ী-রাজশাহী নৌপথ এবং গোমতী-হারোয়া নদীকে ব্যবহার যোগ্য করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। নৌ প্রটোকল চুক্তি অনুযায়ী ২ দেশের মধ্যে ৩টি নৌপথ রয়েছে। যার একটি কলকাতা-হলদিয়া, রায়মঙ্গল হয়ে বাংলাদেশের খুলনা, মংলা, কাউখালী, বরিশাল-হিজলা, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, আরিচা, সিরাজগঞ্জ, বাহাদুরাবাদ ও চিলমারী হয়ে ভারতের আসামের ধুবড়ি পান্ডু পর্যন্ত। কলকাতা-হলদিয়া, রায়মঙ্গল হয়ে বাংলাদেশের খুলনা, মংলা, কাউখালী, বরিশাল-হিজলা পর্যন্ত। একই নৌপথ চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, ভৈরববাজার, আশুগঞ্জ, আমজিরিগঞ্জ, মার্কলী, শেরপুর, ফেষ্ণুগঞ্জ, জকিগঞ্জ হয়ে ভারতের ধুলিয়ান হয়ে বাংলাদেশের রাজশাহী গোদাগাড়ী পর্যন্ত।
আপনার মতামত লিখুন :