শেখ সেকেন্দার আলী, মালয়েশিায়া: মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ইমিগ্রেশন ও পুলিশের নেতৃত্বে চিরুনি অভিযানে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ১৭০৯ জনকে আটক করে ইমিগ্রেশন। আটককৃতদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন দেশের ৩০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল রোববারের অভিযানে রাজধানীর অলিতে গলিতে ব্যাপক অভিযান চালায়। এসময় বৈধরাও দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। অভিযানের খবরে ছবি, ভিডিও একাধিক ফেসবুক পেজ শেয়ার করে সবাইকে সাবধান অবলম্বন করতে বলা হয়। রাজধানীর বাইরে অবস্থান করা অভিবাসিদের শহর ও নিরাপদ থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
মালয়েশিায়া ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রধান দাতু ইন্দিরা খাইরুল দাজাইমি বিন দাউদের নেতৃত্বে ১৭৫ জন অভিবাস বিভাগের কর্মকর্তা ও এসএসএম,জিপিএন সহ মোট ২৪৭ জন কর্মকর্তা এ অভিযানে অংশ নেন।
ইমিগ্রেশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে রাজধানীর বাংলাদেশি মার্কেট বলে পরিচিত কোটা রায়া, জালান সিলাং বাস স্টেশন ও পুডু এলাকার অলি-গলিতে অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় গ্রেফতার এড়াতে অবৈধদের পাশাপাশি বৈধরাও পালাতে থাকেন।
দীর্ঘ সময় পরিচালিত এ অভিযানে এক হাজার ৭০৯ জন অভিবাসীর কাগজপত্র যাচাই করা হয়। আটককৃতদের মধ্য থেকে বাংলাদেশিসহ ১৪৭ জনকে গ্ৰেফতার করে। অপর এক অভিযানে একটি হোটেলে থেকে ১৫৯ জন নারীকে গ্রেফতার করে। তবে অভিযানে কতজন বাংলাদেশি আটক করা হয়েছে তা অভিবাসন বিভাগের থেকে জানানো হয়নি।
ইমিগ্রেশন প্রধান দাতুক দাতুু ইন্দিরা খাইরুল দাজাইমি জানান, আটককৃতদের কাছে বৈধ কোনো নথিপত্র না থাকায় এবং ভিসা আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্থানে কাজ না করায় তাদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬ (১) (সি) এর অধীনে আরও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে মালয়েশিায়া সরকার কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আর কোন সুযোগ দেওয়া হবে না বৈধতার জন্য। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতাসহ জেল জরিমানা ছাড়াই দেশে যাওয়ার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফরে আসা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী। মো:ফরহাদ উজজামান
আপনার মতামত লিখুন :