শিরোনাম
◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০১৯, ০৩:৩৯ রাত
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০১৯, ০৩:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিটিভি দেখা যাবে সারাবিশ্বে, সংসদে তথ্যমন্ত্রী

আমিন মুনশি : কয়েক মাসের মধ্যে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সারাবিশ্বে বিটিভি দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এখনো বেশিরভাগ মানুষ বিটিভি দেখে। তবে আশ্চর্যের বিষয় গত কয়েক দশক ধরে বিটিভি ভারতে দেখা যাচ্ছিল না। আমরা ভারতের সঙ্গে ওয়ার্কিং অ্যাগ্রিমেন্ট করেছি, চুক্তি করেছি। সেই চুক্তির আলোকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিটিভি সমগ্র ভারতবর্ষে টেরিসটোরিয়াল চ্যানেল হিসেবে দেখা যাবে। ডেইলি বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) বিল-২০১৯ পাস হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এ সময় বিরোধী দলীয় সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের জন্য দক্ষ, যোগ্য কলাকুশলী ও নির্মাতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রি, কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান এবং গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় বিধান করতে ওই বিলটি পাসের প্রস্তাব করা হয়। বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক, পীর ফজলুর রহমান ও বেগম রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ, মোশাররফ হোসেন ও বেগম রুমিন ফারহানা এবং গণফোরামের মোকব্বির খান। তাদের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিল নিয়ে আলোচনার সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সরকারি টেলিভিশনগুলো যেভাবে তাদের সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে টেরিসটোরিয়োল চ্যানেল হিসেবে দেখা যায়, ঠিক একইভাবে বিটিভি সমগ্র ভারতবর্ষে দেখা যাবে। এছাড়া আগামী কিছুদিন পর মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীতে বিটিভি দেখা যাবে বলেও জানান তিনি।

বিটিভির খবর পাঠকদের বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলায় মন্ত্রী বলেন, একজন সদস্য বলেছেন, বিটিভিতে বয়স্ক মহিলাদের দিয়ে খবর পড়ানো হয়। তাহলে কি সুন্দর তরুণীদের দিয়ে শুধু খবর পড়ানো হবে? চেহারা কি মানুষের সমস্ত গুণাগুণের মূল বিষয়? যে খবর পড়ার জন্য চেহারাই সুন্দর হতে হবে? এটিই কি মুখ্য বিষয়? তিনি বলেন, চেহারা বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলা কতটুক সমীচীন। আমি একই কথাগুলো সংসদীয় প্রসিডিং থেকে এক্সপান্স করার অনুরোধ করছি। তিনি আরো বলেন, বিটিভির মান উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ছয়টি বিভাগীয় শহরে নতুন টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চলচ্চিত্র বিকাশে ভারতসহ অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্র আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। চলচ্চিত্র উন্নয়নের জন্য অনেক প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গাজীপুরে ১০০ একর জায়গার ওপর বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্থাপন করা হবে। সেটি বিশ্বমানের ফিল্ম সিটিতে উন্নীত করব।

সরকারের মেয়াদে গত দশ বছরে গণমাধ্যমের চিত্র তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। অনেক উন্নত দেশেও সেটি হয়নি। দশ বছর আগে বাংলাদেশে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল সাড়ে ৭০০, এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা এক হাজার ৩০০। দশ বছর আগে টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ছিল ১০টি, আজকে ৩৪টি সম্প্রচারে আছে, ৪৫টির লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অনলাইন মিডিয়া হাতে গোনা কয়েকটি ছিল। এপর্যন্ত আট হাজারের বেশি অনলাইন পত্রিকার দরখাস্ত জমা পড়েছে।

সিনেমা হল বন্ধ প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, হলগুলো বন্ধ হচ্ছে এটা শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নয় এটা সমগ্র বিশ্বব্যাপী হচ্ছে, ভারতেও অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে। আকাশ সংস্কৃতির কারণে তাছাড়া নিউ মিডিয়ায় ছবিগুলো চলে আসায় সিনেমা হল বন্ধ হচ্ছে। সমগ্র পৃথিবীতে হল সিনেমা হলগুলো সংকুচিত হচ্ছে। ভারতের মতো আমাদের দেশেও অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়েছিল। যদিও সিনেমা হলগুলো আবার চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যারা সিনেমা হল আধুনিকায়ন করতে চান বা বন্ধ সিনেমা হল চালু করতে চান তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হবে। এটি হলে কয়েক বছরের মধ্যে সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পাস হওয়া বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৬ এর ১ উপ-ধারা দফা (ড) এর পরিবর্তে নতুন (ড) দফা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। নতুন দফায় ইনস্টিটিউটের গভর্নিং বডিতে একজন শিক্ষক ও একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাসহ অনূন্য ৪ থেকে ৬ জন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বরেণ্য ব্যক্তিত্বকে অন্তর্ভুক্ত করার বিধান করা হয়। বিলে গভর্নিং বোর্ডের সদস্যদের মেয়াদ ৩ বছরের পরিবর্তে ২ বছর করা করা হয়। এছাড়া বিলে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র আরো বিস্তৃত করার বিধান করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়