শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০১৯, ০২:০৭ রাত
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০১৯, ০২:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পৃথিবীর দূষণ দাসপ্রথার মতোই ঘৃণিত হবে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে জানালেন প্রকৃতিবিদ স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরো

নূর মাজিদ : আজকের তরুণ প্রজন্ম জলবায়ু পরিবর্তন এবং পৃথিবীর দূষণ নিয়ে অনেক বেশি সোচ্চার। এটাই সবচাইতে বড় আশার কথা। আমার ধারণা তরুণদের কাছে পৃথিবীর দূষণ একসময় দাসপ্রথার মতোই ঘৃণিত হবে। বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য মানবিক কর্মকাÐের কারণে পৃথিবী কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার প্রমাণ চলতি সপ্তাহে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাণিজ্য, জ্বালানি এবং শিল্প কৌশল বিষয়ক কমিটির সামনে তুলে ধরে এসব কথা বলেন স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরো। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

তিনি একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিস¤পন্ন ব্রিটিশ প্রকৃতিবিদ এবং টেলিভিশন উপস্থাপক। নিজ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ রাণীর কাছ থেকে সম্মানসূচক নাইট উপাধিও পেয়েছেন তিনি। পার্লামেন্ট কমিটির সামনে প্রমাণ করার সময় স্যার অ্যাটেনবরো বলেন, পৃথিবীর দূষণ রোধে এখন পর্যন্ত মানুষ অনেক শিথিলতা প্রদর্শন করেছে। অথচ এখন সময় এসেছে কঠোর হওয়ার, প্রয়োজনে পরিবেশ সংরক্ষণে আমাদের উগ্রপন্থী হতে হবে।

টোরি আইনপ্রনেতা এবং পার্লামেন্ট কমিটির সদস্য প্যাট্রিক ম্যাকলোঘলিন তাকে প্রশ্ন করেন, ২০৫০ সালের মধ্যে অর্থনীতিকে কার্বন দূষণ মুক্ত করার ব্রিটিশ সরকারের লক্ষ্যমাত্রা স¤পর্কে আপনার কি অভিমত? যার জবাবে বর্ষীয়ান এই প্রকৃতিবিদ বলেন, আমি মনে করি এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় নয়।

যার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, আমি মনে করি এর মাধ্যমে প্রকৃত সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। কারণ এভাবে একটি বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলা করা উচিৎ নয়। আমাদের এই লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে আরো কঠোর অবস্থান নেয়া উচিৎ ছিলো। বর্তমানে আমরা যে সংকট মোকাবেলা করছি তার নিরসনে আমরা যথেষ্ট উগ্র নই। প্রশ্ন হলো, আমরা যদি সত্যিই কঠোর হই, তাহলে কতদূর অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব? কিভাবে আমরা নিজেদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় এটাকে প্রধান ইস্যুতে পরিণত করতে পারি?

তবে এখানে উত্তরটা খুব সহজ। আমি দেখছি আজকের তরুণ প্রজন্ম যারা আগামী দিনে আইনপ্রনেতা হবেন তারা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেশি সোচ্চার। এই বিষয়ে নিজেদের মতামত তারা বেশ আবেগ এবং উদ্বেগের সঙ্গে তুলে ধরছেন। আমার কাছেই এটাই একমাত্র স্বস্তি এবং আশার বিষয়। আসলে সত্য হলো, তরুণেরা বুঝতে পারছেন আগামী দিনের পৃথিবীতে তারাই বসবাস করবেন, সেই দায় থেকেই তারা পৃথিবীর জন্য দূষণমুক্ত সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে চান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়