শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০১৯, ০৬:৪৬ সকাল
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০১৯, ০৬:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘আমার সব জায়গায় ছ্যাকা দিছে’

ডেস্ক রিপোর্ট  : ‘আন্টি আমারে টেকাটা দিয়া দেন, আমি বাড়ি যাবগা। আপনার বাসায় থাকব না। এই কথা বলার কারণে উনি, উনার ছেলে আর মেয়ে মিলে আমারে আইরনের ছ্যাকা লাগাইছে। সব জায়গাতেই ছ্যাকা দিয়েছে। আমার মাথায় খুন্তি দিয়া বাইরাইছে। খুন্তি গরম কইরা ছ্যাকা দিছে। হাতের মাঝে লোহার পাত দিয়া বাইরাইছে। পাকার মাঝে হাত রেখে ওরা আমারে বাইরাইছে। পায়ে বাইরাইছে। প্লাস দিয়া আমার হাতের নখ উঠাইয়া ফেলছে। দাঁত তুইলা ফেলছে।’

বুধবার এইভাবেই অভিযোগগুলো করে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দর্শারপাড় গ্রামের হাবিবুর রহমানের ১৫ বছরের মেয়ে লিমা আক্তার।

লিমা বলে, ‘স্থানীয় আছিয়া খাতুন নামে এক মহিলার মাধ্যমে গৃহকর্মী হিসেবে গত চার মাস আগে ঢাকার মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট কচুক্ষেত এলাকার চৈতালি ১/ডি নামে এক বাসায় যোগ দেই। যোগদানের পর থেকেই নানা অজুহাতে তার উপর নির্যাতন চালাতেন ওই বাসার গৃহকর্ত্রী মীম ওরফে মাহি, ছেলে ওয়াদা ও কাজের আরেক মেয়ে পিংকি।’

নির্যাতিত কিশোরী জানায়, আমি টেকা চাইলেই আমাকে মারে। গত ঈদের দিন রাতে আমারে মাইরা চুল ছিলড়ে। পরে আমার মাথা ফাটাইছে। আমি বলছি, আমার মাথা থেকে অনেক রক্ত বের হইতেছে, আমারে হাসপাতালে নিয়া যান, নিয়া যায় নাই। তারপর তালা দিয়া বাইরাইয়া আমার একটা দাঁত ভাইঙ্গা ফেলছে, আরেকটা অর্ধেকটা ভেঙে গেছে। আমি আসার দিন আমার মাথায় বাড়ি দেয়। আমি বলছি, আমারে এইভাবে মারতেছেন কেন? তারা বলে তুই বাড়ি যাবি না। সেই ব্যবস্থায় করছি। এইগুলো কইয়া আইরন গরম করে, পরে আমার পিঠে, হাতে, শরীরে, লজ্জাস্থানে ছ্যাকা দেয়।

লিমা অভিযোগ করে আরও বলে, ‘গত রোজার মাস পুরাটাই আমারে ওরা অত্যাচার করছে। রোজার মাঝে আমি রোজাও রাখছি, পিটনাও খাইছি। এমনকি ওরা আমারে ঠিকমতো খাইতেও দেয় নাই। আমি বলছি, ভাত খাব, ওরা খাইতে দেয় নাই। ঠিকমতো ইফতারও করতে দেয় নাই।’

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলা মীম ওরফে মাহীকে মুঠোফোনে কল করলে মাহির খালাতো ভাই কাজল ফোন রিসিভ করে উল্টো লিমার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করেন।

লিমাকে নির্যাতনের অস্বীকার করে বলেন, ‘লিমা নিজেই নিজের শরীরে আইরন, খন্তি গরম করে ছ্যাকা দিয়েছে। নিজের শরীর ক্ষত-বিক্ষত করেছে লিমা নিজেই।’

এ বিষয়ে মিম ওরফে মাহি কোনো কথা বলবে না বলে জানান কাজল।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমি খবর পাওয়া মাত্রই হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিত লিমাকে দেখেছি। কিশোরীর সারা শরীরে আঘাত ও নির্যাতনের চিহ্ন। ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক।’

লিমার চিকিৎসক ডা. মুশফিকা বলেন, ‘লিমার সারা শরীরেই নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

ঢাকাটাইমস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়