শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০১৯, ০৮:৩২ সকাল
আপডেট : ১০ জুলাই, ২০১৯, ০৮:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাত মাসে ফল প্রকাশ, ব্যাপক ফলাফল বিপর্যয় ঢাবি গণিত বিভাগে

মুহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন : ব্যাপক ফলাফল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে। ৮ জুলাই, ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত গণিত বিভাগের ১ম বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারেনি ৭০ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষা নেয়ার প্রায় দীর্ঘ সাত মাস পরে এই ফল ঘোষণা করা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ২০১৭-১৮ সেশনের ১ম বর্ষের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরের ১৭ তারিখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য বিভাগগুলো যেখানে দুই মাসের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ করে সেখানে গণিত বিভাগের লেগেছে প্রায় ৭ মাস। আর ফেইলের সংখ্যাটা ৭০ জন যা অন্যান্য বিভাগের তুলনায় খুবই মাত্রাতিরিক্ত৷

তারা বলেন, বিভাগের নিয়মানুযায়ী যারা কৃতকার্য হতে পারেনি তাদেরকে আবার ১ম বর্ষে ভর্তি হয়ে ক্লাস করে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০১৮-১৯ সেশনের প্রথম বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী মাসের ২২ তারিখ। এত অল্প সময়ের মধ্যে যে ৭০ জন ফেইল করেছে তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্যই পর্যাপ্ত নয়, সেখানে পরীক্ষা দিয়ে মানোন্নয়ন করা ত অনেক দূরের কথা।

তারা আরো বলেন, অন্যদিকে ফাইনাল পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত তারিখ পেছানো হলে অনেক শিক্ষার্থীর সেশন জটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিয়েই শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম হতাশা এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেহেতু অকৃতকার্যদের কোন পথ খোলা নেই সেহেতু তারা আন্দোলনে যাওয়ার কথা চিন্তা করছেন।

ভুক্তভোগী কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান" তারা একটা ভীতিকর পরিবেশে আছেন, অনেকেই মনে করে তারা সত্য প্রকাশ করলে শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরাগভাজন হবেন, যা পরবর্তীতে তাদের একাডেমিক ফলাফলে বিরুপ প্রভাব ফেলবে। শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এদের জন্য কোন পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তীতে যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে এর দায় অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অমল কৃষ্ণ হালদার এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিচয় পাওয়ার সাথে সাথে, স্যরি এ ব্যাপারে আপনার সাথে কোনো কথা বলতে পারবো না বলে ফোন কেটে দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়