নিজস্ব প্রতিবেদক : দল ছিলো ব্যর্থ কিন্তু ক্যারিয়ার সেরা ফর্মে ছিলেন তিনি। পাঁচটি অর্থ-শতক ও দু’টি সেঞ্চুরি এবং ১১ উইকেট নিয়ে ছিলেন সর্বোচ্চ রান আর উইকেটের মালিক। তিনি হলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিন্তু এমন পারফমেন্স করেও ব্যাক্তিগত অর্জনকে খুব বড় করে দেখছেন না এই অলরাউন্ডার।
এর কারণও স্পষ্ট। তার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের পরও পয়েন্ট টেবিলের শেষদিকেই থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সাকিবের আক্ষেপ থাকাই স্বাভাবিক। তবুও আসরে নিজের সেরা ইনিংস বাছাই করে নেওয়ার প্রশ্নের জবাবে বেছে নিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হাঁকান শতককেই।
আসরের ১২তম ম্যাচে বাংলাদেশ স্বাগতিক দলের কাছে হেরেছিল ১০৬ রানের ব্যবধানে। যদিও হারের বড় ব্যবধান প্রকাশ করবে না বাংলাদেশের লড়াকু মানসিকতা। ৩৮৭ রানের পাহাড় টপকানোর লক্ষ্যে নেমে স্বাগতিক দলের ক্ষুরধার পেস সামলে ২৮০ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। ১১৯ বলের মোকাবেলায় ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১২১ রানের ‘সংগ্রামী’ এক ইনিংস খেলেন সাকিব। সেই ইনিংসকেই সাকিব রাখছেন বিশ্বকাপে নিজের সেরা ইনিংস হিসেবে। যদিও পরের ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে ১২৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
সাকিব বলেন, ‘সেরা ইনিংসের কথা যদি বলতে হয় তাহলে সেটা ইংল্যান্ড ম্যাচের ইনিংস। সবগুলোই তো ভালো লেগেছে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ইনিংসটা নিজের পছন্দের একটা ইনিংস।’
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সাকিব কথা বলের বিভিন্ন প্রসঙ্গেই। উঠে আসে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে এজবাস্টনের এক প্রান্তের ছোট সীমানার কথাও। যদিও ঐ বিষয়টি তার সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি বলে দাবি সাকিবের।
তিনি বলেন, ‘না, ঠিকই আছে। আমার কাছে মনে হয়নি খুব একটা কঠিন। আর ঐ প্রান্ত থেকে বল করাটা আমার জন্য সুবিধাজনক ছিল। কারণ ডানহাতিদের বিরুদ্ধে বল করতে হচ্ছিল। সেক্ষেত্রে আমার জন্য ভালো করার সুযোগ থাকে। তাই এ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই।’
আপনার মতামত লিখুন :