শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০১৯, ০৫:৫৪ সকাল
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০১৯, ০৫:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেখ হাসিনার ওপর বিশ্বাস রাখুন

কবীর চৌধুরী তন্ময় : পরিবারে যুদ্ধাপরাধী থাকলেও আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়া যাবে... আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব হঠাৎ এই ধরনের কথা কেন বলেছেন... এটা আমার বোধগম্য নয়। ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন, কোনো পরিবারে কেউ হয়তো সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে ছিলো বা জামায়াতে ইসলাম করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে যোগসূত্র ছিলো সেটা ৪৭ বছর পরে এই ধরনের বিষয় দেখার তো কোনো যৌক্তিকতা নেই।
\
আমার প্রশ্ন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বারবার এই ধরনের লোকদের ফুলের মালা দিয়ে দলে না নেওার নির্দেশ দেয়ার পরও হঠাৎ কাদের সাহেব উল্টো পথে হাঁটার কারণটা আমার কাছে রহস্যময় মনে হচ্ছে। অনেকের সঙ্গে আলোচনা করে আমি সত্যিই মর্মাহত হয়েছি। অনেকেই বলেছে, অতীতে বিতর্কিত ও চিহ্নিত লোকদের দিয়ে গ্রুপ ভারি করা এবং তাদের বৈধতা দেয়ার আগাম বার্তা হতে পারে। অথবা অন্য কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে এই ধরনের কথা বলা হয়ে থাকতে পারে... কিন্তু আমার প্রশ্ন, ৪৭ বছর পর যখন যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে কথা বলার যদি কোনো যৌক্তিকতা না থাকে তাহলে তাদের বিচার করা কি প্রশ্নবিদ্ধ নয়...? তাহলে সাঈদীকে কারাগারে রেখে জনগণের টাকায় লালন-পালন না করে তাকে ছেড়ে দিলেই তো হয়। বরং আওয়ামী লীগের ওই বড় পদে সাঈদীকে বসালেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কিচ্ছু বলবে না। মনে করবে তাদের পূর্ব পুরুষদের দেখানো পথ কতিপয় নেতাকর্মী ধ্বংস করেছে যেভাবে ৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে প্রথমবার শুরু হয়েছিলো। কারণ যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থে কারা কারা সম্পর্ক তৈরি করেছে, আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধনে নিজেরা একাকার হয়েছে... এ যুগের সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এখন আর লুকায়িত নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নয়। শেখ হাসিনার কোনো নির্দেশনা নেই। এটা জনাব ওবায়দুল কাদের সাহেবের একান্ত মতামত। যারা ফোন করে হতাশা প্রকাশ করেছেন তাদের ধৈর্য ধরতে বলবো। শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তি ও সংগঠন অন্য যে কারও কথায় মনোবল হারাবেন না। মনে রাখবেন, শেখ হাসিনা কড়া ভাষায় দলের সকল নেতাকর্মীদের নিষেধ করেছিলো। ব্যক্তির গ্রুপ ভারি করার জন্য অনেকেই এই অপকৌশল গ্রহণ করে জামায়াতের কিছু লোক ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগে ঢুকিয়ে ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শেখ হাসিনার অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে।

কাদের সাহেব খুব অসুস্থতা থেকে কিছুদিন আগে সুস্থ হয়েছেন। বলা যেতে পারে, মৃত্যুর খুব কিনার থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। আমি আশাবাদী, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ওবায়দুল কাদের সাহেব নিশ্চয়ই মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত আদর্শ স্বাধীনতাবিরোধীদের আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশের এক-তৃতীয়াংশ জনগণকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তাদের মনোবল ধ্বংস করবেন না। সবাইকে বলবো, শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস রাখুন। আমাদের আশা ভরসা আর বিশ্বাসের জায়গা একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। প্লিজ, কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়