শাহানুজ্জামান টিটু : আমি মনে করি না পার্শ্ববর্তি দেশের একটি রাজনৈতিক দলের কি পরিবর্তন আসলো, না আসলো এর সঙ্গে বিএনপির কোনো রকমের সংশ্লিষ্টতা বা প্রভাবের কোনো প্রশ্নই নেই। এটা কংগ্রেসের বিষয়। এর প্রভাব বিশেষ করে ভারতের ওপর পড়বে। বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া এভাবে বললেন বিএনপির আন্তর্জাতিক উইংয়ের সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি কংগ্রেসের যখন সবচেয়ে সুদিন সেই সময় বিজেপি মাত্র দুটি আসন নিয়ে সংসদে এসেছে। কিন্তু তখন কাউকে পদত্যাগ করতে দেখিনি। নেতার কাজ হচ্ছে সঠিক নেতৃত্ব ও দিক নিদের্শনা দেয়া। সেখানে সফলতা যেমন থাকবে, ব্যর্থতা আসবে। সব মিলিয়ে তো এই চলা।
রুমিন বলেন, একই সঙ্গে এটা মনে করি মাঠে থেকে যুদ্ধ করাটা প্রকৃত রাজনৈতিক নেতার কাজ। ব্যর্থতা জীবনে আসবে। সেই ব্যর্থতাকে পাশ কাটিয়ে কিভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়, সামনে কিভাবে সফল হওয়া যায়, আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা প্রকৃতযোদ্ধার কাজ।
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, পাশের দেশে গণতন্ত্র আছে। যে ক্ষমতায় আসুক না কেন জনগণের সমর্থনে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র চলে গেছে সেই ২০০৭ সালে। তারপর দেশে আর গণতন্ত্র নাই। আজকের যে সরকার সেটা ওয়ান ইলেভেন ধারাবাহিকতার সরকার । ওই ভুত এখনো আমাদের ঘাড় থেকে নামেনি। সুতরাং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কোনো তুলনায় চলে না গণতন্ত্র, রাজনৈতিক দল কিংবা নেতা।
তিনি বলেন, ভারতের রাজনীতিতে অতিতে বহু পদত্যাগের নজির দেখেছি। কোনো ব্যক্তি যখন মনে করেন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি বা পারছেন না অতবা তার কোনো ব্যর্থতার কারণে দেশ, দল কিংবা মানুষকে মূল্য দিতে হয়েছে। তখন দেখা যাচ্ছে তিনি তার পদ থেকে সরে যাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশে এমন নজির রয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের বিষয়টিও তাই। কিছুদিন আগে ভারতে নির্বাচন হয়ে গেলো নির্বাচনে তার দল ভালো করতে পারেনি। সেই প্রেক্ষাপট থেকে তার পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত।
আপনার মতামত লিখুন :