শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৪ জুলাই, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একজন শিক্ষকের ক্লাসে কারিকুলামের কবিতা পড়াতে গিয়ে নারী-পুরুষের জৈবিক সম্পর্ক, বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা যৌন হয়রানি!

কামরুল হাসান মামুন : ‘অফিস থেকে টেনে বের করে শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন!’ ‘ভুটানের শিক্ষকদের জন্য সুসংবাদ... ভুটান সরকার শিক্ষকদের বেতন দ্বিগুণ করছে’। দুটো সংবাদ ২ জুলাই আমার নজরে এসেছে। একটি আমার দেশের শিক্ষকদের অপমান আর অবহেলার স্বাক্ষর বহন করে আর অন্যটি খুব কাছের একটি দেশে শিক্ষকদের প্রতি তাদের কতো আস্থা ও ভালোবাসা সেটির স্বাক্ষর বহন করে। শুনেছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বর্তমান একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদকে অফিস থেকে বের করে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। এটা কোনো সভ্য দেশে কল্পনা করা যায়? আর এই ঘটনার পর আমাদের রাষ্ট্র যেইরকম নির্লিপ্তিতা দেখাচ্ছে সেটাও কি কোনো সভ্য দেশে কল্পনা করা যায়? এখানে স্পষ্টতই ডাবল ক্রাইম। অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ একজন মেধাবী শিক্ষক হিসেবে সুপরিচিত। এর মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের আরেকটি খারাপ দিকও উন্মোচিত হয়েছে। ওখানে ক্লাসে কম পড়িয়ে, সাজেশন নির্ভর সহজ প্রশ্ন করে পরীক্ষায় বেশি নম্বর দিয়ে পাস করিয়ে দিয়ে সার্টিফিকেট হাতে তুলে দেয়া। এটা যেই শিক্ষক না করবে তার উপরই ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হবে। শুনেছি দুয়েকজন শিক্ষককেও উনি ছাঁটাই করেছেন এবং তাদেরও ইন্ধনে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এর আগে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন ইউএসটিসির একদল শিক্ষার্থী। তাকে লাঞ্ছিত করার সঙ্গে ওই একই শিক্ষার্থীরাই জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাকি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। কোথায়? আমি তো কোথাও কোনো ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখছি না। এটা কি শুধু ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপার? এই ক্ষোভ তো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার কথা।

ইংরেজি সাহিত্যের কোর্স কারিক্যুলামের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি কবিতা পড়াতে গিয়ে নারী-পুরুষের জৈবিক সম্পর্ক, বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া, পোশাক নিয়ে ক্লাসে নিয়মিত আলোচনা করেন অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ। এসব বিষয়কে যৌন হয়রানি হিসেবে অভিযোগ তুলে ওই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী গত এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে প্রথম আন্দোলনে নামে। এটা যে কেবল ওই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই এমন ঘটনা ঘটেছে তা নয়। একই রকম অভিযোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধেও আনা হয়েছিলো। তাহলে কি শ্রেণিকক্ষে এসব পড়ানো যাবে না? এছাড়াও কয়েকদিন আগে শুনেছিলাম এক কলেজের অধ্যক্ষের গায়ে ময়লা ঢেলে দিয়েছিলো তার কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওটারও কোনো বিচার হয়নি। কেন হয়নি? কারণ কাজটি যারা করেছে তারা সরকার দলীয়। আর সরকার দলীয় হওয়া মানেই সব অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে তারা রসসঁহরুবফ! তাদের পুলিশ ধরলে পুলিশ শাস্তি পাবে। এ রকম একটি সমাজে ক্রাইম বাড়বে না তো ভুটানে বাড়বে?
কী জঘন্য একটি সমাজ তৈরি করে ফেলেছি আমরা? তারপরও সব কিছু স্বাভাবিক! সবাই কেমন নির্বিকার যেন সব কিছুই ঠিকঠাক চলছে। আর বাকি রইলো কি। সরকারিভাবে ঘোষণা করে দেন যে এসব জিনিস পড়ানো যাবে না। এমনকি ডারউইনের বিবর্তনবাদও পড়ানো যাবে না। এজন্যই বলি :Everything that we are doing is pushing our country back to the dark age!ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়