শিরোনাম
◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি

প্রকাশিত : ০৩ জুলাই, ২০১৯, ০৪:৩৭ সকাল
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০১৯, ০৪:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব অমলিন ও সুদৃঢ় রেখেই ধর্মান্ধ শক্তির বিরুদ্ধে দুই রাষ্ট্রকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে

পীর হাবিবুর রহমান : ভারত আমার একটি প্রিয় দেশ। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে দেশটির সমর্থন-সহযোগিতায় রয়েছে ঋণবোধ। অকৃত্রিম বন্ধু দেশটির সংস্কৃতি আর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ উদার গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের চরিত্র। কিন্তু দিন দিন ধর্মান্ধ উগ্রপন্থীদের উন্মত্ত আচরণ, জয়শ্রীরাম নয় তো গোমাংস ইস্যুতে মুসলমানদের ওপর নৃশংসতা, কিংবা মুসলমান নারীদের ধর্ষণের আহ্বান জানানো বক্তৃতা, উদ্বিগ্ন বিমর্ষ ব্যথিত করে। মনে হয় এই ধর্মান্ধ উগ্রপন্থীরা ভারত রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ উদার গণতান্ত্রিক চরিত্রের উপর আঘাত হানছে। ধর্মের নামে উগ্রতা বিষের বাতাস, জিঘাংসা, হিংসা কার্যত রাষ্ট্রের সর্বনাশ করে।

পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রটি ধর্মের বাড়াবাড়িতে শেষ হয়ে গেছে। জঙ্গিবাদ ধর্মান্ধতার কবলে ব্যর্থ রাষ্ট্রের তকমা পরেছে। তার দিকে ঘৃণা ছাড়া কেউ ফিরেও তাকায় না! আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আক্রমণে তাদের ধর্মান্ধ সমর্থকদের নিয়ে কে মুসলমান, কে হিন্দু দেখেনি! নির্বিচারে বাঙালিদের গণহত্যা গণধর্ষণ করেছে। আমরা ওদের পরাজিত করে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। ওখানে ভারতের বা পুঁজি মহাত্মা গান্ধীকে ধর্মান্ধ উগ্রপন্থীরা হত্যা করলেও ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শে আঘাত হানতে পারেনি।
আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার-পরিজনসহ নৃশংস হত্যাকা-ের মাধ্যমে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকেই মুছে দেয়া হয়নি, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয়েছে। বিষ ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এখানেও নানা সময় উগ্রপন্থী ধর্মান্ধরা রাজনীতির কুৎসিত চেহারায় হিন্দু-বৌদ্ধদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। মন্দিরে হামলা করেছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের উপর আঘাত করেছে। সব ধর্ম, জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত না করতে পারলে রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যেখানে মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই করছি, সেখানে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক ভারত যদি ধর্মনিরপেক্ষতার মহান আদর্শ সমুন্নত রাখতে উগ্রপন্থীদের কঠোর হাতে দমন বা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়, তাহলে এর নেতিবাচক প্রভাব উপমহাদেশে পড়বেই না, সবাইকে অশান্ত করবে।

ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব অমলিন রেখেই, সুদৃঢ় রেখেই ধর্মান্ধ শক্তির বিরুদ্ধে দুই রাষ্ট্রকেই কঠোর অবস্থান নিতে হবে। ধর্মের নামে কোনো জোরজুলুম কোথাও চলতে পারে না। জঙ্গিবাদের ঠাঁই ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক আদর্শের সঙ্গে সহাবস্থান করতে পারে না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়