শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৩ জুলাই, ২০১৯, ০৩:১০ রাত
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০১৯, ০৩:১০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ, ডব্লিউইএফ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

আসিফুজ্জামান পৃথিল : চীনের দালিয়ানে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের-ডব্লিউইএফ বার্ষিক সম্মেলনে উন্নয়নের ৫টি পয়েন্ট প্রস্তাব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই ৫ পয়েন্টে ছোট এবং দুর্বল অর্থনীতিগুলোর চ্যালেঞ্জ এবং শঙ্কার বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন।

নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম ২৫তম অর্থনীতির একটি হবে। ডব্লিউইএফ, বিএসএস।
নিজের প্রস্তাব উত্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মাঝেমাঝে শুধু বড় অর্থনীতির প্রয়োজনগুলোই খেয়াল করি। আমাদের ছোট অর্থনীতির বিবেচ্য বিষয়গুলো অবশ্যই ভাবতে হবে। একটি টেকসই বিশে^র জন্য তুলনামূলক দূর্বল অর্থনীতিগুলোর ভারসাম্য রক্ষা করা খুবই জরুরী।’ প্রশান্ত মহাসাগরী অঞ্চলে সহযোগীতা শীর্সক বৈঠকে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, ‘৫ দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, এশিয়া প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য এই বিষয়গুলো খুবই জরুরি। এরপর তিনি তার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রথম প্রস্তাবে তিনি একটি শান্তি-সৌহার্দ্য-ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরির পরামর্শ দেন। দ্বিতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়নের সকল উপযোগী বিষয়ে মনোনিবেশের তাগিদ দেন। ৩য় প্রস্তাবে বলা হয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে দেশগুলোকে মনোনিবেশ করতে হবে। পঞ্চম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শত্রুতা নয় বরং স্বচ্ছ সম্পর্ক তৈরির প্রতি জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম দায়িত্বগ্রহণের পর তার প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিলো গঙ্গার পানি বন্টনের নায্য হিস্যা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে আমাদের সমুদ্রসীমা নিশ্চিত করতে পেরেছি। আর এখন বাংলাদেশ ও ভারত সমতা ভিত্তিক উন্নয়ন এবং আন্তঃনদী বিষয়ে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন ভারিতের সঙ্গে আকৃতি ও সম্পদের পার্থক্যের কারণে বাংলাদেশের টিকে থাকার একমাত্র উপায় হলো টেকসই উন্নয়ন এবং যোগাযোগ। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি তৈরি করতে চাই। হ্যাঁ ভূ-রাজনীতি সবসময়েই জীবনের অংশ। কিন্তু আমাদের সবসময়েই ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। কারণ আমরা স্বল্পমেয়াদী স্বার্থের জন্য দীর্গমেয়াদী স্বার্থত্যাগ করতে পারিনা।’

এক প্রশ্নোত্বর পর্বে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে চীনা অংশগ্রহণ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মোটেও চীনা ‘ঋণের ফাঁদের’ বিষয়ে শঙ্কিত নয়। তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষই ঋণের ফাঁদের বিষয়ে কথা বলছে।আমার একটি সহজ উত্তর আছে। যেহেতু এসব প্রকল্পে আমাদের জনগনের স্বার্থ রয়েছে, আমাদের দরকষাকষি করে এই অর্থ নিতে হবে।আমাদের বিদেশী ঋণ জিডিপি’র ১৪.৩ শতাংশ। এটি অবশ্যই একটি শক্তিশালী অর্থনীতির চিহ্ন।’ শেখ হাসিনা জানান, বাংলাদেশ দেশের সবচেয়ে বড় সেতু নির্মানে চীনা কোম্পানিগুলোকে কাজ দিয়েছে। কিন্তু এই সেতু সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে। আমাদের সরকারের গত ১০ বছরে, আমি বাংলাদেশকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে নিতে চেয়েছি। আমাদের দেশের কোন সামরিক উচ্চাকাঙ্খা নেই। কারণ এটি আমাদের নীতির উর্ধে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজকের দিনে কোনো দেশই একা চলতে পারে না। এটি একটি বৈশ্বিক গ্রাম। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির একটি হবে। আমাদের অবশ্যই দরিদ্র ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর কথা ভাবতেই হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের কথাও ভাবতে হবে।’ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জন্য বড় সমস্যা। আমরা কার্বন নিঃসরণ করি না কিন্তু আমাদের এর দায় নিতে হচ্ছে। এর সমাধান আমাদের দিতে হবে। ১৯৭৫ সালে পুরো পরিবার হত্যার পরে নিজের দুর্বিসহ অভিজ্ঞতার কথাও বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। সম্পাদনা : ইকবাল খান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়