শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০১৯, ১১:২৬ দুপুর
আপডেট : ২৭ জুন, ২০১৯, ১১:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখী পানি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়িত হচ্ছে, সংসদে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

আসাদুজ্জামান সম্রাট : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গত এক দশকে ঢাকা ওয়াসা তথা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি নাগরিকের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে ভিশন-২০২১ অনুসারে ‘পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখী পানি ব্যবস্থাপনা’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত চট্টগ্রাম-৪ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি দিদারুল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এরই ধারাবাহিকতা আগামী ২০২১ সালের মধ্যে রাজধানীতে ভূগর্ভস্থ পানির উৎসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূপৃষ্ঠস্থ উৎসের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে বৃহৎ তিনটি পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে ৭০ শতাংশ ভূপৃষ্ঠস্থ পানি আর ৩০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ পানির উৎসের ওপর নির্ভরতা নিশ্চিত করে ঢাকাবাসীর মধ্যে পানি সরবরাহ করা হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, পানি সরবরাহে ঢাকা ওয়াসার চলমান বৃহৎ প্রকল্পগুলো হলো- সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প (ফেজ-৩), পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার প্রকল্প (ফেজ-১) এবং গর্ন্ধবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্প। রাজধানীতে নিরাপদ ও প্রেসারাইজড পানি সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে নতুন ট্রেঞ্চলেস প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্ত পানির লাইন পরিবর্তন করে আধুনিক পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, সবার জন্য নিরাপদ পানি- সরকারের এই ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজধানীর সমস্ত বস্তিবাসীকে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বৈধ ও নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। চট্টগ্রাম নগরীতেও পরিবেশবান্ধব পানি সরবরাহের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প, চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নীতকরণ ও স্যানিটেশন প্রকল্প, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এবং ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প শীর্ষক বৃহৎ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে।
এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ রাজধানী ঢাকার সারফেস ড্রেন, অগভীর নর্দমাগুলো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই উভয় সিটিতে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে উভয় সিটিই ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার করে চলেছে। ইতিমধ্যে কালশী ও মুসলিমবাজার খাল পরিস্কার করা হয়েছে।
খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রামীণ ও নগর পর্যায়ে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ ও নগর অর্থনীতিতে গতিশীল করার লক্ষ্যে এলজিইডি কাজ করছে। পল্লী সেক্টরে এলজিইডির চলমান প্রকল্প ১০৯টি। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মিত গ্রামীণ অবকাঠামো যেমন, সড়ক, সেতু, হাটবাজার এবং উপজেলা-ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ইত্যাদি পল্লী অঞ্চলে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সহযোগিতা করছে। এসব প্রকল্প থেকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কার্যক্রমও এলজিইডি বাস্তবায়ন করছে।

মো. মহিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচর বনজ সম্পদ ও পশু-পাখি সমৃদ্ধ সম্ভাবনাময় এলাকা। চরটিকে পশু-পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে এর অদূরে চর মমতাজে দ্বিতল ডাকবাংলো নির্মাণ করা হবে।

মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, সমবায় অধিদপ্তরে সংরক্ষিত রেকর্ড অনুসারে ৪৮৫ উপজেলায় সমবায়ী কৃষকের সংখ্যা ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৯১ জন। সরকারের ধান চাল, গম সংগ্রহ অভিযানে সমবায়ী কৃষকদের অগ্রাধিকার দিতে বিশেষ কার্ড দেয়ার পরিকল্পনা আপাতত নেই। তবে সমবায়ী কৃষকদের সিঙ্গেল ডিজিটের সুদ হারে কৃষিঋণ দিতে বিআরডিবির প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। সব কৃষকই অপ্রধান শস্য উৎপাদনের লক্ষ্যে চার শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন।

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়