আসিফুজ্জামান পৃথিল : সারা শরীর ঢেকে রাখে এমন পোষাকে নারীদের সুইমিংপুলে নামা নিষিদ্ধ করেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের নগর-কর্তৃপক্ষ। ফলে নারীরা আর মুসলিমদের বিশেষ সাঁতার পোষাক, বুরকিনি পরে সাঁতার কাটতে পারবে না। এই সিদ্ধান্তে মুসলিম নারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। ডয়েচে ভেলে।
দেশটির গ্রেনোবেলে বুরকিনি পড়ে প্রকাশ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন মুসলিম নারীরা। জিন ব্রোন সুইমিংপুলের নিষেধ অমান্য করে সাঁতার কেটেছেন বুরকিনি পড়া নারীরা। অন্যদিকে, ডানপন্থী নেতা ম্যারি লি পেন বলেছেন, সারা শরীর ঢাকা সাঁতার পোশাকের ‘কোনো জায়গা ফ্রান্সে হবে না’। মুসলিম নারীদের জন্য বিশেষায়িত সাঁতার পোশাক বুরকিনি। মুখ, হাত আর পায়ের তালু ছাড়া সারা শরীর ঢাকা থাকে এই পোশাকে। বিক্ষোভে নামা দুই মুসলিম নারী বিবিসিকে বলেন, ‘গ্রেনবোলের তীব্র গরমে আর সবার মতো সুইমিংপুলে নেমে আমাদেরও মজা করতে ইচ্ছে করে। বাচ্চাদের সঙ্গ দেয়ার পাশাপাশি তাদের সাঁতার শেখানোর স্বপ্নটা আমাদেরও আছে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রত্যয় জানান দুই নারী।
বুরকিনির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন প্যারিস অঞ্চলের প্রধান ভ্যালেরি প্রিক্রেস। রেডিও ক্লাসিককে তিনি জানান, ‘এই পোশাক মেনে নেয়া হলে, কয়েক বছরের মধ্যে দেখা যাবে, গরীব প্রতিবেশি দেশের সব তরুণিরা নিজস্ব রীতিতে সারা শরীর ঢেকে গোসলে নামবে।' মুসলিম নারীদের অধিকার রক্ষায় ‘অপরাশেন বুরকিনি’ শিরোনামে প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে গ্রেনোবলের সিটিজেন অ্যালায়েন্স। ফেসবুকের মাধ্যমে সংগঠনটি জানিয়েছে, ৬০০ মুসলিম নারীর পিটিশিন সইয়ের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলন শুরু হয়। গ্রেনোবেলের মেয়রের কাছেও এই নিয়ম পরিবর্তনের দাবি জানাবে তারা। উল্লেখ্য, সবার জন্য উন্মুক্ত সুইমিং পুলে নামতে হলে, নারীদের বিকিনি অথবা ওয়ান-পিস পোশাক পড়ার বিধান করেছে কর্তৃপক্ষ। সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :