শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০১৯, ১০:০০ দুপুর
আপডেট : ২৬ জুন, ২০১৯, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অবশেষে সেই বৃদ্ধা মাকে নিজের অট্টালিকায় নিলেন ছেলে

নিউজ ডেস্ক : অবশেষে ভাড়া করা অন্ধকার টিনের ঘর থেকে ছেলের অট্টালিকায় স্থান হল ৯৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের। মঙ্গলবার ছেলে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ডেকেরেটর ব্যবসায়ী কিরণ শিকদার তাঁর মাকে ঘরে তোলেছেন। ডেইলি সংবাদ

স্থানীয়রা জানান, গত রমজান মাসে স্ত্রী লিপি আক্তারের কথায় নিজের তিন তলা ভবনে না রেখে ভাড়া করা পাশের একটি ভাঙা অন্ধকার টিনের ঘরে মা মরিয়ম বেগমকে একা রেখে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা কিরণ শিকদার। দুদিন আগে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছেলে থাকে অট্টালিকায়, আর ৯৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা থাকে ভাড়া করা অন্ধকার ভাঙা টিনের ঘরে- এমন একটি সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি নরসিংদী পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদের নজরে আসে। তিনি কিরণ শিকদারকে আটকের নির্দেশ দেন পলাশ থানা পুলিশকে। পরে পুলিশ তাকে আটক করলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা মায়ের দেখভাল করবে এমন অঙ্গীকার নামায় তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এর দুদিন পর মঙ্গলবার কিরণ শিকদার তার মা মরিয়ম বেগমকে ভাড়া বাসা থেকে নিজের তিনতলা বাড়িতে নিয়ে আসেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে কিরণ শিকাদারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের ২য় তলায় মাকে নিয়ে অবস্থান করছেন কিরণ শিকদার ও তার পরিবার। সেখানে অনেকটা হাসি-খুশিতে সময় পার করছেন বৃদ্ধা মা মরিয়ম বেগম। দুই দিন আগেও যেই বৃদ্ধা মা মাটিতে বিছানা করে শোয়েছিল, তিনি এখন আলিসান খাটে শোয়ে-বসে সময় পার করছেন।

ছেলের বাসায় এসে কেমন লাগছে জানতে চাইলে মরিয়ম বেগম বলেন, এখানে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। একা একা আমার কোথাও থাকতে ভালো লাগে না। জীবনের বাকি দিন গুলো ছেলে, নাতি-নাতনি ও পুত্রবধূকে নিয়ে থাকতে চাই।

ছেলে কিরণ শিকদার জানান, মাকে কাছে পেয়ে আমারও খুব আনন্দ লাগছে। মার যেখানে ভালো লাগবে সেখানেই থাকবে। যতদিন বেঁচে থাকি নিজের কাছে রেখে মায়ের সেবাযত্ন করে যাবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়