নুর নাহার : আগামি সাত দিনের মধ্যে বাজার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরিয়ে নিতে সব ফার্মেসি ও ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে নির্দেশ দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ইনডিপেডেন্ট টিভি -১০.০০
ওষুধ ধ্বংস করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে ২ জুলাইয়ের মধ্যে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত নিতে কিছু কোম্পানি গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছেন দোকান মালিকেরা।
দেশে অনুমোদিত ফার্মেসি এক লাখ ৩০ হাজার, মডেল ফার্মেসি ৫০০ ও মেডিসিন সোপ ১৬ হাজার। এসবের বাইরেও অসংখ্য দোকানে ওষুধ কেনাবেচা চলে অনুমোদন ছাড়াই।
ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশের ৯৩ ভাগ ফার্মেসিতেই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষধ আছে। এসব দোকানের বিরুদ্ধে গত পাঁচ মাসের অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪০৪টি মামলা করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। জরিমানা করা হয় ৮১ লাখ টাকা।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ জুন উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা আসে, এক মাসের মধ্যে সব ফার্মেসি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ সব ওষধ সরাতে হবে। নির্দেশ কার্যকরে কঠোর অবস্থানে যায় ওষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
ওষুধ কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে ২ জুলাইয়ের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ অপসারণের সময় বেধে দেয়া হয়। দোকান মালিকদের অভিযোগ, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত নিতে চাচ্ছে না অনেক কোম্পানি।
দোকান মালিকেরা বলেন, দুই একটা কোম্পানী রয়েছে যারা সপ্তাহখানেক বা এক মাস পরেই ওষধ ফেরত নেয়। অনেকেই বলে যে, মাসের নির্দিষ্ট তারিখে আমরা ফেরত নেই অথবা বছরে এক দুইবার ফেরত নেই। তারা প্রচুর সমস্যা করছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বলছে, ওষধ মেয়াদ সংক্রান্ত কোনো অনিয়মে ছাড় দেয়া হবে না। নির্দেশনা অমান্যে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ফার্মেসি ওষুধ ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করবে। আর ওষুধ কোম্পানি তা গ্রহণ করে ধ্বংস করবে এবং আমাদের কাছে রিপোর্ট দেবে। আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো। যদি কেউ নির্দেশনা না মানে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো। সে ওষধ কোম্পানি হোক আর কেমিস্ট ড্রাগিস্ট সমিতি হোক সবার বিরুদ্ধেই করবো।
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিপদ থেকে বাঁচতে তারিখ দেখে ওষধ কেনার পরামর্শও দিয়েছে ওষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :