শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০১৯, ০৬:৪১ সকাল
আপডেট : ২৬ জুন, ২০১৯, ০৬:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রেলপথে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৮৯ সালে, টঙ্গীর মাজুখানে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান ১৭০ জন

মহসীন কবির : দেশের ৩ হাজার ৩৩৬ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। কিন্তু ভয়াবহ দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে রেলসেতুকেন্দ্রিক। ঢাকা-সিলেট, সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে গত দেড় বছরে ৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে; যার মধ্যে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ-কুশিয়ারার মধ্যস্থলের রেলসেতু ভেঙে দুই দিন ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। একই পথে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ মাধবপুরের ইটাখলা রেলব্রিজ ভেঙে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেন। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ পাঁচ দিন বন্ধ ছিল। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেনের ৫টি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৫ জন এবং আহত হয় প্রায় অর্ধশতাধিক। ১৯৭২ সালের ২ জুন যশোর ট্রেন দুর্ঘটনায় ৭৬ যাত্রী মারা যায় এবং ৫০০ যাত্রী আহত হয়। ১৯৭৯ সালের ২৬ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গার কাছে একটা ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ৭০ যাত্রী মারা যায় এবং ৩০০ যাত্রী আহত হয় ।

১৯৮৩ সালের ২২ মার্চ ঈশ্বরদীর কাছে একটা রেল সেতু দিয়ে চলার সময় ভেঙ্গে পড়ে। সাথে সাথে পর পর কয়েকটা স্পান ভেঙ্গে পরে । কয়েকটি বগি নিচে শুকনা জায়গায় পড়ে। এ দুর্ঘটনায় ৬০ জন যাত্রী মারা যায় । ১৯৮৫ সালের ১৩ জানুয়ারি খুলনা থেকে পার্বতীপুর গামী সীমান্ত এক্সপ্রেসের কোচে আগুন ধরে যায় । এতে ২৭ জন যাত্রী মারা যায় এবং ২৭ জন আহত হয় । ১৯৮৬ সালের ১৫ মার্চ সর্বহারার নাশকতায় ভেড়ামারার কাছে ট্রেন লাইনচুত হয় এবং নদীতে পড়ে যায়। ২৫ জন যাত্রী মারা যায় এবং ৪৫ জন আহত হয় ।

১৯৮৯ সালের ১৫ জানুয়ারি টঙ্গীর কাছে মাজুখানে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭০ জন যাত্রী মারা যায়। আহত হয় আরও ৪০০ জন। ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের কাছাকাছি ট্রেন লাইনচুত হয়। এতে ১৩ জন মারা যায় ও ২০০ আহত হয়। ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি হিলি রেল স্টেশনে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। এ দর্ঘটনায় মারা যান ২৭ জন। ২০০৬ সালের ১১ জুলাই আক্কেপুরের কাছাকাছি ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩৩ জন মারা যায়।

সর্বশেষ সোমবার ঢাকা-সিলেট লাইনে কুলাউড়ার মনছড়া (৯নং রেলসেতু) রেলসেতুতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে উপবন এক্সপ্রেস। এতে ৫ জন নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।

২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক জাতীয় সংসদে গত ৮ বছরে রেল দুর্ঘটনার একটি পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, ২০০৯-১০ থেকে ১৬-১৭ সাল পর্যন্ত ৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৯১টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৮৬ জন ।

সারাদেশে রেলওয়েতে লাইনচ্যুতিসহ মেইন লাইন ও শাখা লাইনে ২০০৯-১০ সালে ৩০৮টি দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত, ২০১০-১১ সালে ২২৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ও ১১৪ জন আহত, ২০১১-১২ সালে ১৮২টি দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ৪১ জন আহত, ২০১২-১৩ সালে ১৭৬টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত, ২০১৩-১৪ সালে ২০৩টি দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত ও ১৪০ জন আহত, ২০১৪-১৫ সালে ১০৯টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৯০ জন আহত, ২০১৫-১৬ সালে ১১৭টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ৩৪ জন আহত এবং ২০১৬-১৭ সালে ৭২টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছেন। ২০০৯ সালে জুন থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনায় রেলওয়ের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ২৫ কোটি ৫৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৪ টাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়