শঙ্কর মৈত্র : নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৬ লাখ। লাখ লাখ মামলার বিচার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আদালত চত্বরে গেলে দেখা যায় মানুষের দুর্ভোগ। কতো মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে আদালতের বারান্দায় ঘুরে ঘুরে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য উচ্চ আদালতে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এসব মামলা নিষ্পত্তিতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। তাদের দেখতে হচ্ছে দুধের ভেজাল, ফল শাকসবজিতে ভেজাল, ঔষধের ভেজাল, ফুটপাথে গাড়ি চালানো এসব বিষয়ে। দিনের পর দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আদালতের মহামূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে এসব নিয়ে রিট মামলার শুনানিতে। অথচ এ কাজগুলো নির্বাহী বিভাগের অধীনে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর দেখার কথা। দেখার জন্য পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, বিজ্ঞানী সবই আছে।
কিন্তু মনে হয় সবাই অন্ধ হয়ে বসে আছে। সবকিছু নিয়ে চলে আসে হাইকোর্টে। মনে হয় মানুষ কোথাও ভরসা পাচ্ছে না। কোথাও আস্থা পাচ্ছে না। আদালত না বললে দু-এক কথা না শোনালে নির্বাহী বিভাগের লোকজন কোনো কাজও করতে চাচ্ছে না। দুধ নিয়ে টানাটানি কি হাইকোর্টের কাজ? কিন্তু হাইকোর্টকেও দুধে হাত দিতে হয়েছে। অথচ ভেজাল দুধ ধরার জন্য বিএসটিআইসহ নানা সংস্থা আছে। ভেজাল ধরলে কি কেউ না করবে? তাদের একশোজন লোক লাগবে কেন? যে ক’জন আছেন তাদের নিয়ে মাঠে নেমে আইনি ব্যবস্থা নেন না কেন? লোক নেই এটা অজুহাত মাত্র। ফার্মেসিতে ভেজাল ঔষধের বিরুদ্ধে র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান চালাতে হবে কেন? ঔষধ প্রশাসনের কাজ কি? আমার জানামতে, তাদের যথেষ্ট জনবল রয়েছে। কিন্তু তারা ব্যস্ত থাকেন ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দহরমহরমে। মাসোয়ারা নিয়ে। যে কাজ তদারকির জন্য নির্বাহী বিভাগে আমলা কামলা রাখা হয়েছে তারা যদি তা না করেন তাহলে তাদের বাদ দিয়ে দিলেই হয়। দরকার হলে এসব সংস্থা বিলুপ্ত করে দেয়া হোক। আলতু ফালতু বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের মূল্যবান সময় নষ্ট করার সময় কি হাইকোর্টের আছে? হাইকোর্টকেও বিষয়টি ভাবতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :