নিউজ ডেস্ক : ফোনে কাল্পনিক অভিযোগের কথা বলে বা কমিশনে অনুসন্ধান, তদন্তাধীন অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিয়ে সরকারি চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে অবৈধ আর্থিক সুবিধা দাবি করে আসছে সংঘবদ্ধ একাধিক চক্রের সদস্যরা। টাকা দিতে রাজি না হলে নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য কমিশনের মাধ্যমে ভালভাবে না জেনে কারো প্রতারণার ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সংশ্নিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সমকাল
মঙ্গলবার দুদক থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই আহবান জানানো হয়।
কেউ এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হলে প্রতিকার পেতে তাৎক্ষণিকভাবে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী (মোবাইল নং- ০১৭১১-৬৪৪৬৭৫) অথবা উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্যের (মোবাইল নং-০১৭১৬-৪৬৩২৭৬) সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
দুদক বলেছে, নিজস্ব গোয়েন্দা উৎসসহ বিভিন্ন উৎস থেকে কমিশন অবহিত হয়েছে যে, দুদকের কর্মকর্তা এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম অথবা তাদের আত্মীয়-স্বজনের নাম ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে একাধিক প্রতারক বা প্রতারকচক্র সক্রিয় রয়েছে। এরা কমিশনের মামলা অথবা কমিশনের কাল্পনিক মামলা অথবা অভিযোগ অথবা কাল্পনিক অভিযোগ থেকে অব্যাহতি অথবা অভিযুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে অনৈতিক অর্থ দাবি করছে।
দুদক সূত্র জনায়, এমনও অনেক প্রতারক রয়েছে যারা একইভাবে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন দফতর বা সংস্থায় বিভিন্ন অনৈতিক তদবির করছে। প্রতারকচক্র কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমিশনের কর্মকর্তাদের আত্মীয়, বন্ধু, কিংবা অন্য কোনো স্বজন পরিচয় দিয়ে অনৈতিক তদবির করছে। কমিশন এ জাতীয় কর্মকাণ্ড বন্ধে বহুমাত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
দুদকের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, প্রতারকদের আইনের আওতায় আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া যা কমিশন নিরলসভাবে পরিচালনা করছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্নিষ্টদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। কারণ দুদক আইন অনুসারে কোনো একক ব্যক্তির অভিপ্রায় অনুসারে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার যেমন কোনো সুযোগ নেই, তেমনি অভিযুক্ত হওয়ারও কোনো সুযোগ নেই।
এএস/টিই
আপনার মতামত লিখুন :