আবদুল অদুদ : খুদ বানু দীর্ঘদিন ধরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। শতবর্ষী হলেও জুটছিল না তার কপালে বয়স্ক ভাতার কোনো কার্ড। এখন শতবর্ষী সেই খুদ বানুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক ও রোটারি ক্লাব অব স্কাইলাইন, ঢাকা। নেত্রকোনার মদন উপজেলার শিবাশ্রম গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র সেই খুদ বানুকে সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে। খুদ বানু ডি ব্লক, ১৬/বি এফএনপি-১৪-এ চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এই প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবাশ্রম সমাজ কল্যাণ সংঘের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকল্যাণ অ্যালামনাই ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়দুর রহমান সৌরভ।
জানা যায়, ভিটাবাড়ি পর্যন্ত নেই খুদ বানুর। গ্রামের কিছু যুবক তাকে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। সেখানেই কষ্টে দিন যাপন করেন খুদ বানু। শিবাশ্রম সমাজ কল্যাণ সংঘের সভাপতি জুবায়দুর রহমান সৌরভ বলেন, তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি খুব অসুস্থ, তাই ডা. এ কে মাহবুবুল হক ও রোটারি ক্লাব অব স্কাইলাইন, ঢাকাকে বিষয়টি জানালে তারা তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
রোটারি ক্লাব অব স্কাইলাইন, ঢাকার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নওশাদুল হক এই প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ করেছি। এমন মানবিক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারছি বলে আমরা নিজেদেরকে ধন্য মনে করছি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক গণমাধ্যমকে জানান, উনার কেউ নেই। ১৩০ বছর বয়সের একজন অসহায় হতদরিদ্র বৃদ্ধাকে সেবা দিতে পেরে আমি নিজেকে খুবই গর্বিত বোধ করছি। তাকে আমরা সব রকম চিকিৎসা দেবো। বয়স নির্ধারণ করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা হবে। তিনি গিনেস বুকে রেকর্ড করবেন। খুদ বানু যেন বাকি জীবন ভালোভাবে কাটাতে পারেন, তার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আপনার মতামত লিখুন :