মো. সোহাগ হোসেন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামের একটি খালের উপর নির্মিত আয়রণ ব্রিজটি ভেঙে এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে ইউনিয়নে ৪টি গ্রাম, ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও জনসাধারণসহ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, প্রায় ২/৩ বছর যাবৎ ব্রিজটির আংশিক অংশ ভাঙা ছিল। কিছুদিন পূর্বে ব্রিজটি র্যালিং ভেঙে সম্পূর্ণভাবে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। এ ব্রিজটি দিয়ে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া, দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া, ছাদেম মুন্সি ও উত্তর ঝাটিবুনিয়াসহ প্রায় ৪/৫ গ্রামের জনসাধারণ, ময়দা দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা ও ইজিবাইক চলাচল করে। ব্রিজটি ভেঙেযাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জনসাধারণ কোন রকম ব্রিজটির ভাঙা অংশের উপর গাছ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ছৈলাবুনিয়া এলাকার হুরমইবুনিয়া খালের উপর নির্মিত আয়রণ ব্রিজটি পশ্চিম অংশের র্যালিং ভেঙে খালের মিশে গিয়েছে। ভাঙা অংশে স্থানীয়রা সুপারি গাছ দিয়ে চলাচল করছে।
দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মোসা. সাদিয়া আক্তার বলে, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ভয়ে আমরা ব্রিজটি পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না। যার কারণে আমাদের পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে। এখানে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হলে আমরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারব।
স্থানীয় ইউ,পি সদস্য মো. সফিক মল্লিক জানান, ব্রিজটি প্রায় ২/৩ বছর যাবৎ ভাঙা অবস্থায় থাকলেও এর কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যার ফলে এলাকার বাসিন্দা ও যান চলাচলে ব্যহত হচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহচ্ছে এলাকাবাসী। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার কারণে স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যেতে না পরায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার কথা শুনেছি। অতি শিগ্রই যাতে ঐ স্থানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে অবহিত করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন বলেন, সরেজমিনে গিয়ে ব্রিজটি পরিদর্শন করে দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনানো হবে। সম্পাদনা: সুতীর্থ বড়াল
আপনার মতামত লিখুন :