তপু হারুন, শেরপুর: শেরপুর জেলার নকলা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান লিটনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌরসভার প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার এক পর্যায়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন মেয়র লিটন।
তাঁর অভিযোগ, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জয়ী চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিনের বড় ভাই ফুয়াদ তার সঙ্গীদের নিয়ে এ হামলা করেছেন।
হামলার পর নকলা শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মেয়রের ওপর হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক লাঠি-সোটা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বর্তমানে শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের সংর্ঘষের আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত ১৮ জুন নকলা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন পৌর মেয়র লিটন। এ নিয়েই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, নির্বাচনের আগে থেকেই চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসীকে মাঠে নামিয়ে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বিজয়ী, প্রার্থী শাহ্ মুহাম্মদ-বুরহান আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছিল।
কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত পোস্টার ছিঁড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রোববার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মেয়র লিটনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালান হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। শেরপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কাজ করছি। সম্পাদনা : মিঠুন রাকসাম
আপনার মতামত লিখুন :