শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০১৯, ০৪:০৪ সকাল
আপডেট : ২৫ জুন, ২০১৯, ০৪:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আহমদ ছফা : মানবিকতা ও দার্শনিকতার অগ্রপুরুষ

অসীম সাহা : আহমদ ছফা। এক কিংবদন্তি লেখক। ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্য রচয়িতা এবং মানবিকতা ও দার্শনিকতার প্রধানতম অগ্রপুরুষ। কেন তিনি অগ্রপুরুষ? সমকালীন সময় থেকে যে মানুষ নিজগুণে তার দার্শনিকতা দিয়ে নিজেকে ভবিষ্যতের প্রবক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন, তিনিই তো অগ্রপুরুষ।

উনবিংশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে যেসব মহান পুরুষ নিজেদের নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন তাদের মধ্যে রামমোহন, বিদ্যাসাগর এবং ডিরোজিও ছিলেন প্রধানতম। আহমদ ছফা ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন ডিরোজিওর অনুরাগী ভাবশিষ্য। দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল ছিলেন তার দার্শনিক গুরু। তিনি তার লেখনী ও রাজনৈতিক আদর্শ দিয়ে মানুষকে সাম্যের সমাজ গড়ে দেয়ার যে দর্শনের দীক্ষা নিয়েছিলেন বামপন্থী রাজনীতিক-লেখকদের কাছ থেকে, জীবনের নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এবং বাকবদল করেও তিনি তা থেকে একেবারে বিচ্যুত হননি। মানুষের কল্যাণে কাজ করার মধ্য দিয়েই তাকে লালন ও ধারণ করার চেষ্টা করেছেন।

একটি অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে আসা যুবক ঢাকায় পা রেখেই অতিদ্রুত তার প্রতিভার রশ্মি দিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ মানুষের হৃদয় জয় করার দুর্লভ সক্ষমতা অর্জন করেছিলেন। একইসঙ্গে অতি সাধারণ মানুষের প্রতি তার অন্তর্গত দরদ ও ভালোবাসার কারণে তাদেরও মন সহজেই জয় করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ এক দুর্লভ ক্ষমতা।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লেখকদের সংগঠিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বর্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরীহ বাঙালিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখানেও বাম ঘরানার লেখক ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তখন থেকে তার চিন্তার জগতে এক ধরনের গুণগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি দেশে ফিরে এলে তার চিন্তার ক্ষেত্রে পালাবদল ঘটে। তিনি রাজনীতির চেয়ে লেখায় বেশি মনোসংযোগ করেন। ১৯৭২ সালে লিখতে শুরু করেন ‘বাঙালি মুসলমানের মন’ নামক প্রবন্ধ, যেটি ১৯৮১ সালে বই আকারে প্রকাশিত হলে সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রবল আলোড়ন তৈরি করে। এই গ্রন্থে বাঙালি মুসলমানের পশ্চাৎপদতা এবং মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সুবিধাবাদী বহুমুখী সত্তার খাপ খুলে দিলে এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তিনি যখন বলেন : ‘বুদ্ধিজীবীরা যা বলতেন, শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। এখন যা বলছেন, শুনলে বাংলাদেশের সমাজ-কাঠামোর আমূল পরিবর্তন হবে না।’
তিনি তার ‘বৃদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস’ গ্রন্থে এরচেয়েও রূঢ় ভাষায় বৃদ্ধিজীবীদের আক্রমণ করতে দ্বিধাবোধ করেননি। তিনি লিখেছেন, ‘বর্তমান মুহূর্তে আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবীরাই হচ্ছেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রেণি। এরা চিরদিন হুকুম তামিল করতেই অভ্যস্ত। প্রবৃত্তিগত কারণে তারা ফ্যাসিস্ট সরকারকেই কামনা করে। কেননা একমাত্র ফ্যাসিস্ট সরকারই কিছুসংখ্যক বুদ্ধিজীবীকে সম্মান শিরোপা দিয়ে পুষে থাকে। অল্পসংখ্যক বাছাই করা লোককে দিয়ে নিজেদের প্রচার-প্রোপাগান্ডা করিয়ে দেশের জনসমাজের স্বাধীন চিন্তা এবং প্রাণস্পন্দন রুদ্ধ করেই ফ্যাসিবাদ সমাজে শক্ত হয়ে বসে। চিন্তাশূন্যতা এবং কল্পনাশূন্য আস্ফালনই হলো ফ্যাসিবাদের চারিত্র্যলক্ষণ।’
এ এক ভয়ংকর বিস্ফোরণ। এর মধ্যে যে নিহিতার্থ আছে, সেখানে নিরঙ্কুশ সত্যের স্পষ্ট ও সাহসী উচ্চারণ লক্ষ্য করতে বেগ পেতে হয় না! কিন্তু এই সত্যকে কখনো কখনো একেপেশে মনে হয়। কারণ এটা যদি সত্য হতো, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা একেবারে নস্যাৎ হয়ে যেতো। বাস্তবে তা সত্য নয়। অনেক লেখক, কবি ও বুদ্ধিজীবী আমাদের জাতীয় জীবনের প্রতিটি সংগ্রামে-আন্দোলনে আহমদ ছফার মতোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাই সকল বুদ্ধিজীবীকে গণহারে দায়ী করে তাদের ফ্যাসিস্ট চরিত্র উন্মোচনের প্রয়াস সম্ভবত যথাযথ হয়নি। কিন্তু কিছু সত্য সবসময় নিষ্ঠুর হয় বলে বুদ্ধিজীবীদের একাংশের মধ্যে তা প্রবল প্রতিক্রিয়া তৈরি করে এবং বিতর্ক দানা বাঁধে। কিন্তু সেই বিতর্কও তার অবস্থান থেকে আহমদ ছফাকে বিরত রাখতে পারেনি। ‘বাঙালী মুসলমানের মন’ প্রবন্ধে ছফা বাঙালি মুসলমানদের হীনম্মন্যতার ব্যাপক সমালোচনা করেছেন এবং পাশাপাশি এর বাস্তব ও যৌক্তিক কারণগুলো তুলে ধরেছেন। ছফার মতে, হিন্দু বর্ণাশ্রম প্রথাই এদেশে সাম্প্রদায়িকতার আদিতম উৎস। তিনি বাঙালিদের মধ্যে বিভাজনের ক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্রকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু একপেশে প্রবন্ধও রচনা করেছেন। তিনি তার ‘শতবর্ষের ফেরারি : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়’ প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ বিভাগ করার জন্য কোনো একজন ব্যক্তিকে যদি দায়ী করতে হয়, তিনি অবশ্যই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।’ এটাও ইতিহাসের সত্যের আংশিক চিত্রমাত্র। এই বিভাজন শুরু হয়েছিলো আরো অনেক আগে থেকেই। আহমদ ছফা তার লেখার কোথাও সেই ইতিহাসকে চিহ্নিত করতে প্রয়াস পাননি।

আহমদ ছফার লেখালেখির ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করলে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তিনি প্রতিনিয়ত পশ্চাৎপদ মুসলিম জাতিসত্তার জাগরণের জন্য তার লেখনীকে ক্ষুরধারভাবে ব্যবহার করেছেন, অনেক সময় যাকে তার আদর্শ ও চিন্তাচেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মনে হয় না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস পশ্চিমবঙ্গে থাকার ফলে তার চিন্তার ক্ষেত্রে যে মৌলিক পরিবর্তন ঘটে, তা তার পরবর্তীকালের প্রায় সকল লেখাতেই খুঁজে পাওয়া যায়! সম্ভবত সেসময় পশ্চিমবঙ্গের ব্রাহ্মণ্যবাদী সমাজের লেখকদের মুসলিম সমাজ সম্পর্কে উদাসীনতা কিংবা সাম্প্রদায়িক মনোভাব তার চেতনার গুণগত পরিবর্তন ঘটায়। ফলে তিনি তার বাম ঘরানা থেকে সরে এসে নিপীড়িত, লাঞ্ছিত মুসলিম সমাজের দিকে তার অন্তর্গত দৃষ্টির আলো প্রতিফলিত করতে শুরু করেন। তিনি চান বাঙালি মুসলমানের উত্থান, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কি তিনি সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় গ্রহণ করেছেন? একমাত্র বঙ্কিমের উপর লেখা তার প্রবন্ধে সেটা খুঁজে পাওয়া গেলেও অন্য লেখাতে তা সরাসরিভাবে প্রকাশিত হয়নি! এই আবরণের আশ্রয়কে বলা যেতে পারে লেখক হিসেবে আহমদ ছফার কূটনীতি।

১৯৯২ সালে লেখা ‘বাংলাদেশের উঁচুবিত্ত শ্রেণী এবং সমাজবিপ্লব প্রসঙ্গ’ প্রবন্ধে আহমদ ছফা ধনী ও দরিদ্রের মাঝে যে দুস্তর ব্যবধানের চিত্র এঁকেছেন, তাতে গরিব ও সংগ্রামী সাধারণ মানুষদের সঙ্গে আমাদের সুশীল সমাজ ও শাসকশ্রেণির মাঝখানের ব্যবধানকে সঠিকভাবেই চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অভিজাত সম্প্রদায় বিদেশিদের চেয়েও বেশি বিদেশি সেজে থাকে। তারা কাল্পনিক বৈশ্বিক সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে এমন ভাব করেন, যেন এদেশের সংস্কৃতি মানে অচ্ছুতদের সংস্কৃতি আর বিদেশি সংস্কৃতি মানেই সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। বাঙালি এলিট শ্রেণির এই হীনম্মন্যতা বোধকে কঠিন চাবুকে বিধ্বস্ত করেছেন ছফা। তিনি বলতে চেয়েছেন, সাধারণ বাঙালি মুসলমান মোটেই অন্ধ বা গোঁড়া নয়। কিন্তু শাসকশ্রেণির শোষণ এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বঞ্চনার ফলে ক্রমশ দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ায় যে ক্রোধ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, তাতে তাদের মধ্যে এক ধরনের ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি হওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় উগ্রপন্থী সংগঠনগুলো সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতেই মুসলমানদের অবস্থানকে সংকুচিত করে ফেলেছে।
মানবিকতার কাছে দায়বদ্ধ লেখক হিসেবে আহমদ ছফা তার বিভিন্ন উপন্যাসের চরিত্রচিত্রণে বেছে নিয়েছেন গ্রামীণ পটভূমিকে। কিন্তু একেবারে তুচ্ছ বিষয়কেও তিনি ব্যঙ্গচ্ছলে মহিমান্বিত করতে সমর্থ হয়েছেন তার রসবোধের নান্দনিক সৌকর্যে। তার ‘গাভীবিত্তান্ত’ তেমনি একটি উপন্যাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতির নোংরা ও জটিল প্রপঞ্চ নিয়ে রচিত ‘গাভীবিত্তান্ত’ (১৯৯৫) বাংলাদেশের রসসাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে আহমদ ছফার ‘ওঙ্কার’ (১৯৭৫) আজও অতুলনীয় একটি উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে একটি বোবা মেয়ের অপ্রকাশিত গোঙানির ভেতর দিয়ে তিনি যেভাবে একটি অর্থবহ পটভূমি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, তার দ্বিতীয় কোনো দৃষ্টান্ত আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি।
প্রকৃতপক্ষে কী বিষয়ে, কী নির্মাণে ছফার প্রতিটি উপন্যাসই অনন্য। মানুষের জীবনের নিত্যউচ্চার্য ভাষা ব্যবহারে তার সতর্কতা, সৌকর্য এবং বিষয়বস্তু ও রচনাশৈলীর অভিনবত্বে তিনি হয়ে উঠেছেন একমেবাদ্বিতীয়ম। চরিত্র সৃষ্টির দক্ষতায় তাৎপর্যম-িত ও ব্যঞ্জনাময় করে তোলার ক্ষেত্রে আহমদ ছফার দক্ষতা অতুলনীয়। ‘পুষ্পবৃক্ষ ও বিহঙ্গ পুরাণ’ (১৯৯৬) উপন্যাসে আহমদ ছফা ঢাকা শহরের ফুল, পাখি, বৃক্ষ অর্থাৎ বিশাল প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের এক আত্মমগ্ন চিত্র উপস্থাপন করেছেন।
তিনি তার রচনাসমূহের মধ্যে আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবীদের মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ শ্রেণি হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন। তাদের উল্লেখ করেছেন ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগী হিসেবে। মানসিক বিকারগ্রস্ত বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্রের কোনো উপকার তো দূরের কথা; তাদের কারণে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই অকপট উচ্চারণ করার মতো বুদ্ধিজীবী আমাদের সমাজে এখন দুর্লভ। চিন্তাশূন্যতা এবং কল্পনার দৈন্য এসব বুদ্ধিজীবীর একমাত্র অবলম্বন। তার ‘বৃদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস’ গ্রন্থে তিনি তার শাণিত চাবুকে ফালাফালা করেছেন সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীদের, যারা শুধু আত্মমগ্ন এবং বিবৃতিজীবী।
বস্তুত আহমদ ছফা এক বহুমখী চরিত্র। ব্যক্তিজীবনে যেমন, তেমনি লেখকজীবনে। তবে এক ধরনের অস্থিরতা তার চিন্তাকে সবসময় সুশৃঙ্খল করতে পারেনি। সেটা শুধু আহমদ ছফার ক্ষেত্রেই সত্য নয়, চিন্তাশীল প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই সত্য। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে সকল সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তথা বাংলাসাহিত্যে আহমদ ছফার অবদানকে গৌণ করে দেখা যাবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়