শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০১৯, ০৪:০৩ সকাল
আপডেট : ২৫ জুন, ২০১৯, ০৪:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলুন, চিকিৎসক-রোগী ঐক্যবদ্ধ হই স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলি

রাশেদা রওনক খান : আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ডাক্তারদের দায়ী করে থাকি, কিন্তু আমরা অনেকে হয়তো জানি না, ডাক্তারদের পেছনে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে কাজ করে আরও অনেক স্টেকহোল্ডার দুষ্ট ব্যবসায়িক চক্র আছে চিকিৎসা সেবার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে অসহায় মানুষের সমস্ত টাকা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কিছু দুর্নীতিবাজ রয়েছে, ডাক্তার পেশাজীবী মহলের নেতাদের নমনীয়তা আছে, একশ্রেণির দালাল চক্র আছে যারা প্রতিনিয়ত আমাকে-আপনাকে ভারত-সিঙ্গাপুর নিতে পারলেই পকেট ভারী করতে পারে, আর কতক ‘আমরা’ আছি, যারা ধরেই নিই আমাদের ডাক্তারদের চেয়ে বিদেশি ডাক্তার ও চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক ‘ভালো’, যেই ভালো চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই ভালো হয়ে উঠেছেন, অনেকেই আবার মারা গেছেন। বিদেশি চিকিৎসা নেবার পরও মারা গেলে সেটাকে ‘ভাগ্য’ বলে ধরে নেই, আর দেশের চিকিৎসায় মারা গেলে ডাক্তারের অবহেলা বলে তাদের মারতে তেড়ে আসি... এখানে ডাক্তার ও রোগী দু’পক্ষকেই দেশপ্রেম দেখাতে হবে। কেবল ক্রিকেট খেলায় দেশ প্রেম নয়, দেশপ্রেম আমাদের প্রতিমুহূর্তের প্রতিটি কাজে প্রকাশ পায়।

ডাক্তার-রোগীর মাঝে ভালোবাসার বন্ধনই পারে এই দুরারোগ্য ব্যাধি হতে মুক্তি দিতে... মাঝের সকল কালো হাতকে ভেঙে দিতে। ডাক্তারদের ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের ও অন্যান্য দুষ্ট চক্রকে যেমন এড়িয়ে চলতে হবে, তেমনি রোগীদেরও বুঝতে হবে, বিদেশে একজন ডাক্তার পাঁচ ঘণ্টায় দেখেন পাঁচজন রোগী আর আমাদের এখানে একজন ভালো ডাক্তার পাঁচ ঘণ্টায় দেখেন ৫০-১০০ জন। কারণ আমরা সবাই চাই জ্বর বা সর্দি হলেও দেশের/শহরের নামকরা ডাক্তারের কাছেই যাবো, কেউ আমাদের লেভেল নিচে নামাতে রাজি নই। অথচ বিদেশে একজন কনসালটেন্ট অনেক পরের বিষয়, আগে এবহবৎধষ চৎধপঃরঃরড়হধৎ দেখে সাজেস্ট করলে কনসালটেন্টের সিরিয়াল পেতে ৩-৪ মাস অপেক্ষা করতে হয়।
আসুন ডাক্তার হিসেবে যেমন কিছু দায়িত্ব আছে, তেমনি রোগী হিসেবেও আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে, সেগুলোর দিকে নজর দিই। কিছু বিষয়ে ডাক্তার ও রোগী পরস্পর একতাবদ্ধ হই, প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতালের মালিকদের সঙ্গে নয়, সাধারণ রোগীদের পাশে এসে দাঁড়াই, রোগীরাও ডাক্তারদের পাশে এসে দাঁড়াক। দিন শেষে একটাই কথা, ডাক্তারবিহীন আমরা রোগের বিরুদ্ধে এক অসহায় সৈনিক। তাই ডাক্তারের বিরুদ্ধে নয়, রোগের বিরুদ্ধে এবং পারলে পুরো স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়