শিরোনাম
◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০১৯, ০২:১৩ রাত
আপডেট : ২৫ জুন, ২০১৯, ০২:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রস্তাবিত বাজেটে ধনী-গরীবের মধ্যে ব্যাপকভাবে বৈষম্য বাড়বে, দাবি গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের

রমজান আলী : বাংলাদেশে এখন অতি ধনী বৃদ্ধির হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। সরকারি তথ্য মতে, সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পরিবারের আয়ের ব্যবধান ১২১ শতাংশ। সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে প্রস্তবিত জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০ নাগরিক প্রতিক্রিয়া ও মত বিনিময় সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কিভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। বাজেটে শিক্ষা, সাস্থ্য, কৃষিতে তেমন কোন অর্থ বাড়েনি বাজেটে। দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। দেশে যারা ধনী হচ্ছে তারা আরো ধনী হচ্ছে আর যারা গরীব হচ্ছে তারা আরো গরীব হচ্ছে।

গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের দাবি, এবারের বাজেটে বিদ্যমান কর ব্যবস্থায় এমন কোন পরিবর্তন আনা হয়নি যার ফলে সম্পদবানদের কাছ থেকে আরো বেশি কর সংগ্রহ করা যায়। কর ব্যবস্থা আগে যা ছিল মোটামুটি সেটাই আছে। এখানে মৌলিক কাঠামোগত কোন পরিবর্তন বা সংস্কারের কোন প্রস্তাব নেই। তাই এবারের বাজেটে কোন প্রকার পরিবর্তন লক্ষ্য দেখা যায়নি। একটা গতানুগতিক বাজেট হয়েছে এবারও। আমাদের বিদ্যমান অর্থনীতি ব্যক্তিখাত নির্ভর। আমদের মোট কর্মসংস্থানের মাত্র ৩ দশমিক ৮ শতাংশ সরকারি। বাকি ৯৬ দশমিক ২ শতাংশই কোন না কোনভাবে ব্যক্তি খাতের। ফলে ব্যক্তি খাত বা বেসরকারি খাতে বিনিয়োগই কর্মসংস্থানে সৃষ্টির এক মাত্র পথ। এটা সরাসরি কর্মসংস্থানের তেমন একটা ভূমিকা রাখলেও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে উৎসাহ জোগান। অথচ বিগত ৫ বছর ধরে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ জিডিপির ২২-২৩ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। গত অর্থ বছরে এই টার্গেট ধরা হয়েছিলো ২৫ দশমিক ১ শতাংশ, অর্জিত হয়নি। এবার টার্গেট কমিয়ে ২৪ দশমিক শতাংশে আনা হয়েছে। এটাও অর্জিত হবে কিনা সন্দেহ।

এছাড়া আরো বলেন, প্রকল্পের ব্যয়, প্রকল্পগুলো দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কোন আলোচনা নেই এবারের বাজেটের বক্তৃতায়। এতে মূল প্রবন্ধ আলোচনা করেন, মনোয়ারা মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ডিবিএম। অনুঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফজলে হোসেন বাদশা, সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, নাজমুল হক প্রধান সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি, সমন্বয়কারি, গণসংহতি আন্দোলন প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়