সাদ্দাম হোসেন,ঠাকুরগাঁও।। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ৩০ বছর বয়সী এক গৃহবধুকে স্বামীর ভিটা ছাড়া করতেই মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে এলাকার সন্ত্রাসীরা। অপর ঘটনায় নেহার বেগম (৩৫) জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি উপজেলার আখানগর ইউপির ভেলারহাট বরমতলা গ্রামের আমিরুল ইসলামের স্ত্রী নেহার বেগম । রোববার গভীর রাতে ও দুপুরে পৃথক দুটি ঘটনা ঘটেছে।
নূর বানু রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি গ্রামের জিয়ারুলের স্ত্রী । ঘটনার দিন তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না । জিয়ারুল পাশবর্তী হরিপুর উপজেলার সিংহারী গ্রামে মিলচাতালে শ্রমিকের কাজ করছিলেন ।
নূর বানু অভিযোগ করে বলেন, স্বামীর সৎ ভাই আফজালের নেতৃত্বে ৭-৮ সন্ত্রাসী রাতে বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে মুখশ পড়া সন্ত্রাসীরা। ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত-পা চেপে ধরে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে তারা । প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার করেও তিনি রক্ষা পাননি । মুখে কাপড় গুজে গোপন অঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে দেয় । শারীরিক যন্ত্রনায় ছটপট করার এক সময় তিনি জ্ঞান হারান । বাড়ি নির্জন এলাকায় হওয়ায় রাতে জানতে পারেনি স্থানীয়রা । সকালে নূর বানুর দুই শিশু ছেলে-মেয়ের কান্নায় গ্রামবাসিরা তাকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা হেলথ কমপ্লেস্কে ভর্তি করে। সেখানে শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক এম এ রেজা বলেন, প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছিল । এখন শংকামুক্ত তিনি ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুর বানু সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেঁদে বলেন, তার স্বামী নিরিহ প্রকৃতির । স্বামীর সৎ ভাই আফজাল ভিটেমাটি দখলে নিতে দলবল নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালাচেছ । হয়তো একদিন আমাকে বা পরিবারের সবাইকে খুন করবে তারা । রাণীশংকৈল থানার ওসি আব্দুল মান্নান বলেন এ বিষয়ে মামলা হয়েছে ।
অপরদিকে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার নেহার বেগম অভিযোগ করে বলেন, স্বামী আমিরুল ও তাকে সতীনের ছেলে মো. সদল পিটিয়ে জখম করে । স্বামী-স্ত্রী দুজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । কিন্তু রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
সম্পাদনা : মিঠুন রাকসাম
আপনার মতামত লিখুন :