লিহান লিমা: জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, জলবায়ুর জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় যথাযথভাবে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বয়োজ্যেষ্ঠরা। গতকাল সোমবার লিসবনের আয়োজিত তরুণদের এক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘তরুণদেরই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।’ ইউএন নিউজ
এই সময় সুইডিশ কিশোরী গ্রিটা থানবার্গের উদাহরণ দেন গুতেরেস। এই স্কুলকিশোরী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। গুতেরেস বলেন, ‘বিশ্বনেতাদের চেয়ে স্কুলশিশুরা জলবায়ুর জরুরি অবস্থা উপলদ্ধি করতে অনেক বেশি সক্ষম। তারা জানে, এটি ভবিষ্যতের সুযোগের দ্বার রুদ্ধ করবে। তারা এই হুমকি মোকাবেলা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইতোমধ্যেই তারা অনেক পরিবর্তন দেখিয়েছে।’
গুতেরেস জানান, ‘সরকারগুলো তাদের কথা শুনছে এবং কোম্পানিগুলো বুঝতে পেরেছে, কার্বন নিঃসরণ তাদের মর্যাদা ও লাভের জন্য খারাপ।’ গুতেরেস বলেন, ‘এটি শুধুমাত্র শুরু। তরুণদের শক্তি ও দায়বদ্ধতাই এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের তরুণদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যেখানে তারা কেবল সুরক্ষার বিষয়ই নয়, নাগরিক হিসেবে সম-অধিকার, সম-প্রভাব রাখবে।’
প্রসঙ্গত, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ইউরোপজুড়ে আন্দেলন করছে স্কুল-শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার জার্মানিতে হাজারো শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করে। শনিবার জার্মানির কয়লা মাইনের সামনে বিক্ষোভ করেন অধিকার কর্মীরা। একই দিনে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসের অফিসের সামনে ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ শব্দটির পরিবর্তে ‘জলবায়ুর জরুরি অবস্থা’ লেখার জন্য বিক্ষোভ করেন জলবায়ু অধিকার কর্মীরা। সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :