নুর নাহার : ২০১৮ সালে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৩৬১ কোটি ডলার। যা আগের বছরের চেয়ে ৬৮ ভাগ বেশি। ইনডিপেনডেন্ট টিভি-১৪.০০
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাডের বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন নিয়ে সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিডার ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে ৫০ এর মধ্যে আসবে বাংলাদেশের অবস্থান।
টানা ৩ বছর ধরে কমছে বৈশ্বিক বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ। ২০১৮ সালে বিশ্বে ১৩ শতাংশ কমে যায় এর পরিমাণ। আর এসময় বাংলাদেশের চিত্র ভিন্ন। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই আকর্ষণে রেকর্ড পর্যায়ের অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, গত বছর দেশে এফডিআই বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। দেশে বিদ্যুৎ ও পোশাক শিল্প খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ আকর্ষণের ফলে এ অগ্রগতি হয়েছে।
বিদেশি বিনিয়োগে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ আইনের সংস্কার করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, ২০২০ বা ২০২১ সালের মধ্যে আমরা চেষ্টা করবো যাতে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস র্যাংকিংয়ে ৫০ শতাংশে আসতে পারি। আমরা লক্ষ্য স্থির করেছি এর জন্য খুব সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে।
দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো আরও বড় আকারে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করেন আলোচকরা। তাগিদ দেন এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সফলতাগুলো গ্রহণ করার।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুসারে বিশ্বের কম উন্নত দেশগুলোর মধ্যেও সবচেয়ে বেশি এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে বাংলাদেশে। আবার, দক্ষিণ এশিয়ায় ২০১৮ সালে আগের বছরের তুলনায় বিদেশি বিনিয়োগে মাত্র ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও বাংলাদেশের হয়েছে ৬৮ শতাংশ। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :