শিমুল মাহমুদ : আগামী ১৫ জুলাইয়ে ছাত্রদলের কাউন্সিল বাতিল করে পুন:তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সদ্য বিলুপ্ত সংগঠনটির বিক্ষুব্ধ নেতারা।
সোমবার (২৪ জুন) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই দাবি জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্না বলেন, তফসিল ঘোষণা আগে আমাদেরকে বলা হয়েছিল যে, বিএনপির সিনিয়র নেতারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। কিন্তু আলোচনা না করেই তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে পুন:তফসিল ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।
কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু একটি পক্ষ অপ্রীতিকর ঘটনা চাচ্ছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সিন্ডিকেট দায়ী থাকবে। আগামীকালও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি আসবো।
ছাত্রদলের ১২ নেতাকে বহিস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্না বলেন, দল যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে দলের বাইরে আমাদের কিছু বলার নাই।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি, বয়সসীমা উন্মুক্ত এবং তফসিল বাতিল করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আমরা আশা করি তারেক রহমান আমাদের বিষয়গুলোকে বিবেচনা করবেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও বয়সসীমা না করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে বহিষ্কৃত ছাত্রদলের নেতারা ও তাদের অনুসারীরা।
বহিষ্কৃত ছাত্রদলের বিক্ষোভ চলাকালে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন কার্যালয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। তাদের বাধার মুখে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যান মিলন।
এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সরকারের দালাল বলে স্লোগান দিতে দিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। রিজভীকে দল থেকে বের করে দিলে বিএনপিতে আর কোন সমস্যা থাকবে না।
এদিকে বহিষ্কৃত ছাত্রদলের নেতাদের বিক্ষোভ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রদলের একটি অংশ ১৫ জুলাই ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আপনার মতামত লিখুন :