হ্যাপি আক্তার : চুয়াডাঙ্গায় ভারতীয় পাটবীজ দিয়ে চাষ করা পাটগাছে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। পাতা হলুদ হওয়াসহ দেখা দিয়েছে পোকামাকড়ের সংক্রমণ। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন, ৯:০০।
কীটনাশক দিয়েও পাট গাছে পোকামাকড়ের সংক্রমণ দমন করা যাচ্ছে না। তবে কৃষি অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি হলেই রোগবালাই কমে আসবে।
চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমে প্রায় শতভাগ পাটচাষই হয়েছে ভারতীয় বীজে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন -বিএডিসি পাটবীজ সরবরাহ করতে না পারায় বাধ্য হয়ে ভারতীয় পাটবীজেই চাষ হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা কামরুল হক মিঞা বলেন, চুয়াডাঙ্গা একটি সীমান্তবর্তী এলাকা। যার কারণে ভারত থেকে খুব সহজেই বীজ আসছে।
কৃষকের অভিযোগ, চারা ভালোভাবে গজালেও একটু বড় হলেই দেখা দিচ্ছে রোগবালাই। পাতা হলুদ হতে থাকে। দেখা দিয়েছে পোকার আক্রমণও।
কৃষি অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি কম হওয়ায় গাছ হলুদ হওয়া রোগ দেখা দিয়েছে। সঠিক নিয়মে কীটনাশক দেয়া হলে পোকার সংক্রমণ কমবে বলেও জানানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা সৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী হাসান বলেন, এখানে পাটের যে সমস্যাটি হচ্ছে তা হলো মাকর্সার আক্রমন। তার জন্য পরিত্রাণ পাবার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যে, জেলায় এ বছর ৯ হাজার হেক্টর জমিতে পাটচাষের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। তবে কৃষকরা এবার পাটচাষ করেছেন ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন